গাজীপুর সিটি করপোরেশন

চুক্তিভিত্তিক ও মাস্টাররোল কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চুক্তিভিত্তিক ও মাস্টাররোল হিসেবে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। পরে প্রশাসক বরাবর তাদের দাবি-সংবলিত একটি স্মারকলিপি সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন। চুক্তিভিত্তিক-মাস্টাররোল কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে নগরীর ৮টি জোটের সহস্রাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী যোগ দেন। চুক্তিভিত্তিক-মাস্টাররোল কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটি সদস্য প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন জানান, আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশন সাবেক দুটি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত হয়। যা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সিটি করপোরেশন। সিটি প্রতিষ্ঠার প্রায় ১১ বছর অতিবাহিত হলেও পৌরসভা হতে এ পর্যন্ত নগর উন্নয়নের জন্য কোনো স্থায়ী জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। যার ফলে মাস্টাররোল-চুক্তিভিত্তিক অনেকেই তিন থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটিতে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রায় এক হাজার ২২৫ জনের অধিক মাস্টাররোল-চুক্তিভিত্তিক ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক জনবল এই নগরের প্রতিটি মানুষকে সেবা প্রদান করছেন। প্রায় ৪০ লাখ জনগণের শিল্প নগরীর অধু্যষিত এই নগরে সেবা প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত স্থায়ী জনবল নেই। নামমাত্র জনবল দ্বারা নাগরিকসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপরও এই এক হাজার ২২৫ জনের অধিক মাস্টাররোল-চুক্তিভিত্তিক ও দৈনিক মজুরিভিত্তিক জনবল দ্বারা নাগরিকসেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছি। সামান্য বেতনে বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রকৌশলী তানভীর আহম্মেদ বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সেবামূলক শাখায় কর্মরত মাস্টাররোল-চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের অবিলম্বে স্থায়ীকরণের একদফা এক দাবি আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামে কাছে দৃশ্যমান অগ্রগতির বাস্তবায়নের দাবি জানাই। সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান বলেন, মাস্টাররোল ও চুক্তিভিত্তিক কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।