নানিয়ারচরে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস, আতঙ্কে জনসাধারণ

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

নানিয়ারচর (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির নানিয়ারচরে ধসে পড়া পাহাড় -যাযাদি
গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচরে অনেক স্থানে পাহাড়ধস হয়েছে। এখনো পাহাড় ধসের শঙ্কায় রয়েছে অনেক পরিবার। এর মধ্যেই পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নানিয়ারচর উপজেলা প্রশাসন। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নানিয়ারচর সদর, বুড়িঘাট, ঘিলাছড়ি ও সাবেক্ষনের বিভিন্ন এলাকায় মারাত্মকভাবে পাহাড় ধসের শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু এলাকা পাহাড় ধসের বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে এবং কিছু কিছু অংশ ধসে পড়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে বগাছড়ির কিছু অংশ, বুড়িঘাট ৫নং টিলা মোহাম্মদ আলীর পাহাড়, ১৭নং টিলার নুরুমিয়ার দোকানের সামনের পাহাড়, ১৬নং টিলা পাহাড়, ১৮নং টিলার হানিফের দোকানের সামনের পাহাড় এবং ১নং টিলার লিয়াকত আলীর, হাজাছড়ি, ঘিলাছড়ি কলকপাড়া বেনুবন অরণ্য কুটির এলাকা, ইসলামপুর আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা, ইসলামপুর পূর্ব পাড়া মসজিদ পাহাড় যে কোনো সময় ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বসবাসকারী স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড় ধসের আতঙ্ক থাকলেও বাধ্য হয়েই এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছেন তারা। উপজেলা প্রশাসনের আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হলেও কাউকে আশ্রয় নিতে দেখা যায়নি। সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নানিয়ারচর থেকে মো. নুরুজামাল হাওলাদার জানান, টানা বৃষ্টি হচ্ছে। নানিয়ারচরের কিছু কিছু এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ছে। খুব আতঙ্ক নিয়ে এলাকার লোক বসবাস করছে। স্থানীয়রা বলছেন, বছরের পর বছর পাহাড়ে মানুষ ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প কোনো বসবাসের জায়গা নেই, তাই এখানে থাকছে। এদিকে পাহাড় ধসে যাতে যান চলাচল বিঘ্নিত না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান। অন্যদিকে, ঘিলাছড়ি-বুড়িঘাট সড়কের বলির বাগান স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। বর্তমানে রাস্তা বস্নক থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে দুই হাজার পরিবার। নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর জানান, পাহাড় ধসে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। সংকট মোকাবিলায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে, একটি রেসকিউ টিম গঠন করা হচ্ছে।