পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আট জেলা ভাসিয়ে নিলেও স্বাভাবিক রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি। বিশেষ করে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় নদী পদ্মায় কমছে পানি।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার এনামুল হক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানির লেভেল ছিল ১৬ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার নিজ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত ১৭ আগস্ট পদ্মার পানির লেভেল ছিল ১৬ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার। পরের দিন ১৮ আগস্ট থেকে পানি কমতে থাকে। এছাড়াও এ অঞ্চলের অন্য নদীরও পানি কমছে গত কয়েকদিন ধরে।
এনামুল হক বলেন, উজানে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে ভারি বৃষ্টি না হলে পদ্মায় পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আশঙ্কা রয়েছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেও পদ্মায় পানি বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে পদ্মার পানির বিপদসীমা ধরা হয় ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। ২০১৩ সালে একবার বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল। এরপর আর পদ্মার পানি বিপদসীমা ছোঁয়নি।
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিলস্না, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা পস্নাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এসব জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টিও অব্যাহত আছে। আবহাওয়া অফিস আরও ৪৮ ঘণ্টার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটের সকাল ১০টার তথ্য অনুযায়ী, কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরী, ফেনী ও হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এর মধ্যে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।