হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কালনী ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে হাওড়ে প্রবেশ করছে। এর ফলে রোপা আমন আবাদের ৫৭ হেক্টর বীজতলা তলিয়ে গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পানি বাড়ছে। এ জন্য কৃষকের কপালে চিন্তার ভাজ দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পানি নদীতে প্রবেশ করায় বাঁধ উপচে হাওড়ে প্রবেশ করছে। এই পানিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কৃষকদের রোপা আমন আবাদের জন্য তৈরি করা ৫৭ হেক্টর বীজতলা তলিয়ে গেছে।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫টি ইউনিয়ন ও একমাত্র পৌরসভায় এবার তৈরি করা মোট ৩৯৫ হেক্টর বীজতলা তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন তারা।
ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন কৃষক বলেন, অতিরিক্ত মূল্যে সার-বীজ ক্রয় করে বানানো বীজতলা নষ্ট হওয়ায় অর্থনৈতিক লোকসান হয়েছে। আর যে সময়টিতে রোপা আমনের বীজতলা তলিয়ে গেল, এ সময়ে দ্বিতীয় দফায় বীজতলা তৈরি এবং আবাদ করা দুঃসাধ্য। চলতি মৌসুমের রোপা আমন চাষ হুমকিতে পড়ছে।
কৃষক তামিম মিয়া জানান, তিনি গত ১৬ আগস্ট বিনা-৭ জাতের ৮০ কেজি ধান বীজতলায় বপন করেছিলেন। তিনিসহ আরও কয়েকজন কৃষকের তৈরি করা বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একমাত্র পৌরসভায় মৌসুমে ৭ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্য ছিল। এ জন্য ৩৯৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭ হেক্টর তলিয়ে গেছে।
এদিকে এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. লুৎফে আল মুঈজ জানিয়েছেন, বন্যার পানি যদি দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে নেমে যায় তাহলে তলিয়ে যাওয়া বীজতলা রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।