কারখানায় বিদু্যৎস্পৃষ্টে নিহতের ঘটনায় দুই লাখে মীমাংসা, আকস্মিক ছুটি!

প্রকাশ | ২২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিদু্যৎস্পৃষ্টে জুয়েল রানা নামে এক পোশাক কারখানা শ্রমিকের মৃতু্য হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আপাতত কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার সকালে ওই কারখানা ফটকে বন্ধের নোটিশ পাওয়া যায়। এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের পটকা গ্রামের প্রোস্টার এ্যাপারেলস্‌ নামক কারখানায় ওই মৃতু্যর ঘটনা ঘটে। নিহত জুয়েল রানা (৩০) উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের বাউনী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ওই কারখানায় কাটিংম্যান পদে কর্মরত ছিলেন। কারখানার কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই সেকশনের বিদু্যৎ লাইনে ত্রম্নটি ছিল। বিষয়টি এডমিনকে জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। মঙ্গলবার বিকালের দিকে ওই সেকশনের কাটিংম্যান জুয়েল কাজ করা অবস্থায় হঠাৎ বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে লুটিয়ে পড়েন। কয়েকজন শ্রমিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সূত্র আরও জানায়, রাত পৌনে ৯টার দিকে কারখানার এইচআর ম্যানেজার আবু সাইদ এসে কোন আইনি ব্যবস্থা না নিয়েই দুই লাখ টাকা রফাদফা করে নিহতের লাশ নিয়ে যেতে চান। এ সময় কারখানার শ্রমিক ও স্বজনরা বিষয়টি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে সেখানে তাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্রমিকরা আরও জানান, কাটিং সেকশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। কাজ করার সময় শুধু বাম হাতে মেটাল গস্নাভস ব্যবহার করা হয়। মাঝে মধ্যে আর্থিং করে। অপর্যাপ্ত নিরাপত্তার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। কারখানার এইচ আর ম্যানেজার আবু সাইদ শ্রমিকদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারখানায় শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কোনো প্রকার ত্রম্নটি নেই। শ্রম আইন অুনযায়ী নিহতের পরিবারকে দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। নিহতের ভাই সোহরাব হোসেন জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাজ করার সময় বিদু্যৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন বলে খবর পান। কর্তৃপক্ষ দুই লাখ টাকাসহ আরও সুবিধা দেবে বলে জানিয়েছেন। কারখানার ডিজিএম আব্দুর রাজ্জাক লিটন বলেন, 'শ্রমিক নিহতের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করব। তাই, আপাতত কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাইরে থেকে ইলেক্ট্রিশিয়ান এনে সব কারখানার বৈদু্যতিক লাইন যাচাই-বাছাই করা হবে। এ ছাড়াও নিহতের নামে কারখানায় বেতন চলমান থাকবে।' শ্রীপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কেউ থানায় অবগত করেনি।