বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মো. কামরুজ্জামানের (৩০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চর কামারিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। নিহত কামরুজ্জামান ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চর কামারিয়া গ্রামের সৌদী প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় ছেলে।
জানা যায়, কামরুজ্জামান বিদেশ যাওয়ার চেষ্টায় প্রায়ই ঢাকায় যাতায়াত করতেন। গত ৪ আগস্ট বিকালে উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় বুক, পিঠ ও মাথায় আটটি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কামরুজ্জামান। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর থেকে অজ্ঞাত হিসেবে মর্গে পড়ে থাকে। এদিকে পনের দিনেও কামরুজ্জামানের খোঁজখবর না পেয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা পাগলপ্রায়। তখন ১৯ আগস্ট খবর পায় কামরুজ্জামানের লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। পরিবারের লোকজন ছুটে যায় এবং মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ হস্তান্তর করলে রাতেই নিহত কামরুজ্জামানের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। নিহতের স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চর কামারিয়া স্কুল মাঠে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
উলেস্নখ্য, ছাত্র জনতার আন্দোলনে কবির মিয়া (২৩) নামে আরও এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তিনি উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের কান্দিপাড়ায় সলপুনিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। পার্শ্ববর্তী গাজীপুর জেলায় শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মিছিল করতে গিয়ে নিহত হন।