বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার পতনের পর মুরাদনগর ছিল শান্ত, হয়নি কোন হামলা

মুরাদনগর (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
  ২২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
সরকার পতনের পর মুরাদনগর ছিল শান্ত, হয়নি কোন হামলা

শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও কুমিলস্নার মুরাদনগর উপজেলায় ছিল ভিন্ন চিত্র। সেখানে কোন মন্দির বা ব্যক্তির ওপর হামলা হয়নি। উপজেলার পরিবেশ ছিল যথেষ্ট শান্ত।

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পরিচালক ও পূজা উদযাপন কমিটির আন্দিকোট ইউনিয়নের সভাপতি অঞ্জন রায় বলেন, 'শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন (কায়কোবাদ) আমায় ফোন করে বলেন মন্দিরে কেউ কোন সমস্যা করলে তাকে জানাতে। আর এলাকার সব হিন্দু ধর্মালম্বীদের নির্ভয়ে ঘরে থাকার কথাও বলেন সাবেক ধর্মমন্ত্রী। তিনি জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা মন্দির পাহারা দেবে। এরপর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে। মুরাদনগরের কোন মন্দির ভাঙা দূরের কথা, কারো গায়ে কোন আঁচড়ও লাগেনি।'

ভারতের বিভিন্ন মিডিয়ায় হিন্দু ধর্মালম্বীদের ঘর বাড়ি ও মন্দির ভাঙচুরের কথা প্রচার করা হলেও তার সত্যতা পাওয়া যায়নি।

কেমন আছে মুরাদনগরের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জানতে চাইলে, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের মুরাদনগর উপজেলা সভাপতি শঙ্কর রায় বলেন, 'সব হিন্দুর খবর আমার কাছে আছে। এ পর্যন্ত মুরাদনগরে কোন মন্দিরে হামলা হয়নি। কোন হিন্দু বা পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। মুরাদনগরের প্রাণপ্রিয় মানুষ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।'

বাংলাদেশ হিন্দু পূজা উদযাপন পরিষদ মুরাদনগর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ওস্থানীয় মেম্বার রাম প্রাসাদ দেব বলেন, 'আমরা যেহেতু সংগঠন করি, উপজেলার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টানদের খোঁজখবর রাখি। আমরা মুরাদনগরের সবাই নিরাপদে আছি, নির্ভয়ে পূজা করি। আমাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। মুরাদনগরের সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই।'

ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের মুরাদনগর উপজেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক দীন দয়াল পাল বলেন, 'আমরা মুরাদনগরে শান্তিতে আছি। মুরাদনগরে কোথাও কোন হিন্দু বা ভিন্ন ধর্মালম্বীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না।'

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, '৫ আগস্ট সরকার পতনের পরই আমাদের নেতা সাবেক মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের নির্দেশে আমরা মুরাদনগরের প্রতিটি মসজিদ, মন্দির, গির্জার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। নেতার নির্দেশে উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে