ঢাকার কেরানীগঞ্জে মাদকের ভয়াবহতা কমছে না। এ উপজেলার ইমামবাড়ী এলাকায় একটি ১০তলা আবাসিক ভবনের ছাদে নিয়মিত কিশোর গ্যাং সদস্যদের মাদকসেবনের আড্ডা বসে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ পাশাপাশি আসক্ত হচ্ছে মেয়েরাও। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, খোকন চেয়ারম্যানের গলি ও কোনাখোলা উপজেলা পরিষদের ছাদসহ নির্দিষ্ট কিছু স্থান এবং আবাসিক ভবনের ছাদকে মাদকসেবনের অলিখিত স্পট বানিয়ে ফেলেছে তারা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বহিরাগতরাও এসব স্থানে এসে মাদকসেবন করছে। বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মাদকসেবীদের মাদকসেবনকালে হইহুলেস্নাড় আর হুমকি-ধমাকিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয়সহ ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা।
যদিও পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, সব ধরনের মাদকসেবন ও অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ওমর ফারুক, মিরাজ ও তানভীর হোসেন জানান, বিকাল থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ২৫-৩০ জন ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর ও ছাদে মাদকের আসর বসায়। অনেক সময় দিনেও তারা আসর বসায়। তাদের কারণে অস্বস্তিতে পড়তে হয় নারী ও শিশুদের। তারা আরও জানান, মাদকসেবীদের বেশিরভাগের পরিবার স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তারা ভয়ে কিছু বলতেও পারেন না। বহুতল ভবনের মালিক দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার জাতীয় পার্টির সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, বারণ করলেও তারা শোনে না। উল্টো ভাড়াটিয়াদের গালিগালাজ করে। ছাদের তালা ভেঙে উঠে যায়। বিভিন্ন ফ্ল্যাটে ঢুকে ডিস্টার্ব করে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, 'পুলিশ নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এটি রুটিন ওয়ার্ক। মাদকের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যত ক্ষমতাবান হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা ইতোমধ্যে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের তালিকা তৈরি করেছি এবং তাদের নজরদারিতে রেখেছি। মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে।'
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, 'মাদক ও সব ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে আমরা সোচ্চার। কেরানীগঞ্জে মাদকসেবনের কোনো খবর পেলেই সেখানে গিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। মাদকসেবনে কাউকে পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'