মেহেরপুর জেলায় খরার কবলে পড়েছে রোপা আমন আবাদ। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না থাকায় জমিতে সেচ দিয়ে ধানের চারা রোপণ করতে হচ্ছে চাষিদের। ফলে চাষ খরচ বেড়ে গেছে। এদিকে পাট কেটে ধান রোপণ করবেন। কিন্তু সেখানেও পানির অভাবে পাট কাটতে পারছেন না চাষি। তাই এবার রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রথম পর্যায়ে সম্পূরক সেচ দিয়ে রোপা আমন আবাদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের হিসেবে মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে। আমন মৌসুমে সাধারণত বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে চাষিরা ধানের আবাদ করে থাকে। বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতে গিয়ে বীজতলার চারা বড় হয়ে যাওয়ায় চাষিরা বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে ধানের চারা রোপণ করছেন। অন্যদিকে পাট কেটে ধান রোপণ করবেন। কিন্তু সেখানেও পানির অভাবে পাট কাটতে পারছেন না তারা। সেচ দিয়ে ধান আবাদ করতে গিয়ে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে চাষিদের। ফলে এবার রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চাষিরা জানান, এবার অনাবৃষ্টির কারণে সঠিক সময়ে পাট কেটে জাগ দিতে না পারায় রোপা আমন ধান চাষ দেরি হয়ে গেছে। তার ওপর ধানচাষে লাভ খুবই কম। গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে প্রয়োজন খড়। চাল কিনে ভাত খাওয়া কৃষকের কষ্ট। তাই লোকসানেই ধান চাষ করছে কৃষক।
এক বিঘা ধান চাষে খরচ হয় ১৫-১৬ হাজার টাকা। ধান হয় ১৮-২০ মণ। চাষিরা বলছেন, ধান কাটার মৌসুমে মণপ্রতি ধান বিক্রি হয় সাড়ে ৯শ' থেকে হাজার টাকায়। ধানের দাম ১৪-১৫শ' টাকা হলে লোকসান থেকে বাঁচবে কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার যায়যায়দিনকে বলেন, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় চাষিদের সম্পূরক সেচ দিয়ে ধানের চারা রোপণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দেরি হলেও পাট কেটে রোপা আমন চাষ হচ্ছে। তবে কয়েকদিনে বেশকিছু বৃষ্টিপাত হয়েছে। এক্ষেত্রে নিচু এলাকায় সম্পূরক সেচ না দিয়েও রোপা রোপণ করা হচ্ছে। তিনি আশাবাদী রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে।