ঈশ্বরদীতে দরপত্র ছাড়াই কাটা হলো সরকারি গাছ
প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীতে দরপত্র ছাড়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬টি মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পশ্চিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেনের যোগসাজশে নিয়মবহির্ভূতভাবে ওই গাছগুলো কাটা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ছয়টি মেহেগুনি গাছের গুড়ি বিদ্যালয় মাঠে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হলেও গাছের বাকি অংশগুলোর কোনো হদিস নেই। দীর্ঘদিন মাটিচাপা দিয়ে রাখায় অবশিষ্ট কাঠও নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র না করে গাছগুলো কেটে ফেলায় কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাওয়া যাবে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, মানিকনগর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের সুযোগে প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেনের যোগসাজশে প্রায় এক মাস আগে বিদ্যালয় আঙিনার ৬টি বড় বড় মেহগনি গাছ কর্তন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেগুলো কাটার আগে দরপত্র আহ্বানের কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি। এদিকে গাছ কাটার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তড়িঘড়ি করে দরপত্রের লক্ষ্যে তালিকা প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেন বলেন, 'গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, তিনি সব জানেন।'
উপজেলা বন কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, প্রায় ছয় মাস আগে এসব গাছের মাপযোগ করে দাম নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাগজ পাঠানো হয়েছিল। তবে এতদিন পেরিয়ে গেলেও কি কারনে দরপত্র আহবান করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে জানা নেই।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, 'ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাছ কাটার বিষয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেননি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী আমাকে মুঠোফোনে কল দিয়ে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানের কাজে বিঘ্ন ঘটায় মেহগনি কাজ কাটতে হবে বলে জানান।' তিনি আরও বলেন, গাছের অবশিষ্ট অংশ বিক্রির বিষয়েও তাকে কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস বলেন, 'আমি ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি না। প্রধান শিক্ষক ভুল তথ্য দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক গাছের দরপত্রের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু সেটা গাছ কাটার পর। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'