সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের কাশিয়াবাদ স্টেশনের আওতাধীন কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রম্নপ (সিপিজি) সদস্য মোস্তফা শরীফের (মামুন সানার) বিরুদ্ধে সুন্দরবনে অসাধু জেলেদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারে সহযোগিতা করা, বনবিভাগে ভুল তথ্য দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ৪ ও ৫নং কয়রা গ্রামের ২ শতাধিক জেলে বাওয়ালী প্রধান বন সংরক্ষকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের আওতাধীন সুন্দরবনের সিপিজি সদস্য মোস্তফা শরিফ সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ ও অন্য সময়ে অসাধু জেলেদের কাছে অর্থ নিয়ে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করার সুযোগ করে দেন। বন বিভাগের লোকজন ডিউটিতে গেলে কোথায় ডিউটি দিচ্ছে তা জানিয়ে দেন অসাধু জেলেদের। যার কারণে বনবিভাগ অসাধু জেলেদের ধরতে পারে না। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে নিরীহ জেলে বাওয়ালীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে থাকেন। ইতোপূর্বে তার অনিয়মের বিরুদ্ধে একাধিকবার বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি আরও বেপোয়ারা হয়ে উঠেছেন।
এ ব্যাপারে সিপিজি সদস্য মোস্তফা শরিফ বলেন, 'এলাকায় কিছু ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।'
কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল বলেন, সুন্দরবনের সিপিজি সদস্য মোস্তফা শরিফ মামুনের বিরুদ্ধে অনেক জেলে অভিযোগ করেছেন। তাকে সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. মোহাম্মদ আবু নাসের মোহাসিন হোসেন বলেন, কোন সিপিজি সদস্য যদি অসাধু চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুন্দরবনের সম্পদ ধ্বংসে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।