বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আখাউড়ায় হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী যুবক

মো. বাহারুল ইসলাম মোলস্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ২১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তরূণ উদ্যোক্তা সজিবের খামারের হাঁস -যাযাদি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বেইজিং প্রজাতির সাদা হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের যুবক মো. সজীব খাঁ। এক বছর আগে তিনি হাঁসের খামার গড়ে তোলেন। হাঁস পালন করে শুরুতেই তার মাসিক আয় ৪৫ হাজার টাকার মতো। খামারের পরিধি বাড়লে এই আয় আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা তার।

উপজেলার মিনারকোট গ্রামের মো. আনিস খাঁর ছেলে সজবী খাঁ জীবন-জীবিকার তাগিদে গত বছর তিনেক আগে পাড়ি জমান গাজীপুর জেলায়। সেখানে গিয়ে মুদির দোকান খোলেন। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি। লোকসান গুনে বছর দেড়েক আগে বাড়িতে প্রথমে মুরগি ও পরে হাঁসের খামার গড়ে তোলেন।

খামারি সজীব খাঁ বলেন, 'গাজীপুরে মুদি দোকান করার সময় এক বন্ধুর বাড়িতে মুরগির খামার দেখতে যেতাম। লোকসান হওয়ায় দোকান গুছিয়ে বাড়ি ফিরে এসে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মুরগির খামার গড়ে তুলি। খামারের পরিচর্যা সম্পর্কে জানতে ইউটিউব ঘাটতে গিয়ে একদিন চোখে পড়ে চীনের বেইজিং প্রজাতির সাদা হাঁস পালনের ভিডিও। তা দেখে আগ্রহী হয়ে উঠি। কিনে আনি একদিন বয়সি ৩০০ হাঁসের বাচ্চা। শুরু করি লালন-পালন। দুই মাসের মধ্যেই লাভের মুখ দেখি।' সাদা রঙের হাঁস চাষের চাষি সজীব খাঁ এখন মহাখুশি।

খামারি মো. সজীব খাঁ জানান, হাঁস পালন করে শুরুতেই তার মাসিক আয় ৪৫ হাজার টাকার মতো। খামারের পরিধি বাড়লে এই আয় আরও অনেক বেড়ে যাবে।

তিনি জানান, বেইজিং প্রজাতির এ হাঁসের ভালো বৈশিষ্ট্য হলো খুব দ্রম্নত বড় হয়ে যাওয়া। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যেই তিন কেজি ওজন হয়ে যায়, যা বিক্রয় উপযোগী। সাদা রঙের পালক, পা কমলা, হলুদ, লালচে কালারের মিশ্রণ হওয়ায় দেখতেও সুন্দর। দেশি হাঁসের তুলনায় এর ডানা ছোট। মাংস খেতেও তুলনামূলক অনেক সুস্বাদু। খামার থেকে তৃতীয়বারের মতো হাঁস বিক্রি শুরু করেছি। হাঁসের পাশাপাশি মুরগির খামারও চালু থাকবে।

তিনি জানান, একেকটি হাঁসের বাচ্চা ১২৫ টাকা করে কিনে আনতে হয়। ৪৫ দিনে তিন কেজি ওজন হয় হাঁসের। প্রতি কেজি লাইভ ওয়েটে সাড়ে তিনশ' টাকা করে বিক্রি করা হয়। হাঁসগুলোকে এমনিতে খাবার কিনে খাওয়াতে হয়। তবে পানি উঠা জমিগুলো থেকে ঝিনুক, শামুক, ধান খাইয়ে পালতে পারলে খরচ কিছুটা কমে আসে। এ জাতীয় হাঁস পালনে অসুখ-বিসুখ বিষয়ে খুব সতর্ক থাকতে হয়।

সজীব বলেন, 'আমি এক কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রীসহ পরিবার নিয়ে বেশ ভালোই আছি। মুরগির পাশাপাশি হাঁসের খামার গড়ে তুলে এখন স্বাবলম্বী। বেকার যুবকরাও যেন হতাশ না হয়ে এভাবে খামার গড়ে তোলেন এই পরামর্শ সজীব খাঁ'র।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে