কারও কাছে লুট হওয়া মালামাল পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা :রাসিক প্রশাসক

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

রাজশাহী অফিস
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিটি প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর -যাযাদি
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, 'সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে লুট হওয়া মালামাল রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সেগুলো দ্রম্নত সময়ের মধ্যে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করছি। যারা ফেরত দিবেন, তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাব। মালামাল ফেরত দিলে কাউকে কোন প্রশ্ন করা হবে না। তবে পরবর্তীতে কারো কাছে কোন সম্পত্তি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম বিষয় তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন সিটি প্রশাসক। মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিটি করপোরেশন। সংবাদ সম্মেলনে ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, সম্ভাব্য পরিমাণ ও করণীয় প্রস্তাব রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের জনবল যৌক্তিকীকরণের জন্যও আলাদা একটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুন্দর শহর রাজশাহী। এটি রাজশাহীবাসীর গৌরবের। আমি দায়িত্ব গ্রহণ করে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেছি। জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো, সেবাসমূহ দ্রম্নত চালু করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক নাগরিক সেবা চালু হয়েছে। যেগুলো বাকি রয়েছে, সেগুলোও আজকের মধ্যে চালু করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন ডলার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতিবিনিময় করেছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। সভায় নগর ভবনসহ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও জনবল যৌক্তিকীকরণে পৃথক দুইটি কমিটি গঠন করা হয়।