টাঙ্গাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ও তিতাসে দলিল লেখক সমিতির প্রতি অনাস্থা
প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
টাঙ্গাইলের দাইন্যা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৯ সদস্য অনাস্থাপত্র দিয়েছেন। এদিকে কুমিলস্নার তিতাসে দলিল লেখক সমিতির প্রতি অনাস্থা দেওয়া হয়। এর পরই তিনজন দলিল লেখক পদত্যাগ করেন। আঞ্চলিক স্টাফ রিপার্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর-
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থাপত্র দিয়েছেন নারী প্যানেল চেয়ারম্যানসহ ৯ ইউপি সদস্য। রোববার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মুহাম্মদ আলীর কাছে নির্বাচিত ৯ ইউপি সদস্য ওই অনাস্থাপত্র দেন। লিখিত অনাস্থাপত্রে চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অনাস্থাপত্রে স্বাক্ষরকারীরা হচ্ছেন- নারী প্যানেল চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অমলা পোদ্দার, সংরক্ষিত ৪, ৫, ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুফিয়া বেগম, সংরক্ষিত ৭, ৮, ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিলকিছ বেগম, ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. শওকত আলী, ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আব্দুল আওয়াল, ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. লিটন মিয়া, ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. সোহরাব হোসেন এবং ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু সাইদ। আবেদনকারীরা সশরীরে উপস্থিত হয়ে ওই অনাস্থাপত্র জমা দেন।
দাইন্যা ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন অনাস্থাপত্রে লেখা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন। টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান-বিন-মুহাম্মাদ আলী জানান, দাইন্যা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দেওয়া ৯ ইউপি সদস্যের লিখিত অনাস্থাপত্র পেয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দ্রম্নত অনাস্থাপত্রটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি জানান, কুমিলস্নার তিতাসে উপজেলা দলিল লেখক সমিতির প্রতি অনাস্থা আনার একদিন পর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। সোমবার সকালে তারা জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতির বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
জানা যায়, গত ৫ জুন হুমায়ুন কবির কাজলকে সভাপতি ও শের-ই-আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে কুমিলস্না জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মনজু ২৮ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী এবং ১০ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি অনুমোদন দেন। বর্তমান পটপরিবর্তনের ফলে গত রোববার সব দলিল লেখক ও ভেন্ডারদের জরুরি এক বৈঠকের মাধ্যমে আগের কমিটির প্রতি অনাস্থা জানায়। ওই অনাস্থায় ৩৩ জন সদস্য স্বাক্ষর করেন। এদিকে, সোমবার সকালে পদত্যাগপত্র জমা দেন উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন করিব কাজল, সাধারণ সম্পাদক শের-ই-আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
সভাপতি পদে থাকা হুমায়ুন কবির কাজল বলেন, 'পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে এর কোন বিকল্প নেই। আমি চাই আগের মতো সবারই সবার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকুক, মিলেমিশে কাজ করুক।' সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা শের-ই-আলম জানান, 'শুনেছি আমাদের কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা আসতে পারে। তাই আমরা তিনজন স্ব-ইচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।'
উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মেহেদী হাসান সেলিম ভূঁইয়া জানান, 'পূর্বের কমিটির প্রতি সবাই অনাস্থা দিয়েছে এবং ইতিমধ্যে তিনজন তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। শিগগিরই সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হবে।'