বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী অনিম পঙ্গুতে কাতরাচ্ছে

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

শরীয়তপুর সদর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ককে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। গত ৭ আগস্ট সখিপুর থানার চরকুমারিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের আগে শহীদ সিরাজ শিকদার কলেজের ছাত্র মইনুর ইসলাম অনিম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তাই স্থানীয় যুবলীগ নেতা মামুন মোল্যা এই হামলা করেছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শহীদ সিরাজ শিকদার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মইনুর ইসলাম অনিম কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই ছিল। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অনিমকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মামুন মোল্যা হুমকি দেন। পরে গত ৭ আগস্ট ফুফুর বাড়ি থেকে ফেরার সময় তার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে অনিমের বাঁ হাতের দুইটি হাড় ভেঙে যায় ও রক্তনালী কেটে যায়। এগিয়ে আসলে ওসমানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। খবর পেয়ে অনিমের বড় ভাই অশ্রম্ন এসে তাকে ও ওসমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেন। এখন পর্যন্ত দুইজনে জীবন মৃতু্যর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আহত মইনুর ইসলাম অনিম বলেন, 'কেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি তাই মামুন মোল্যা আমার ওপর হামলা করেছে। আমি এ হামলার বিচার চাই।' মইনুর ইসলাম অনিমের ভাই অশ্রম্ন মোল্যা বলেন, 'আমি আমার ছোট ভাই মইনুর ইসলাম অনিমের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামুন মোল্যাসহ সব অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।' অনিমের চাচাত ভাই সম্রাট মোল্যা বলেন, 'চরকুমারীয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজ মোল্যা ও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আকতার সরদার, ফারুক মোল্যা, ফুয়াদ মোলস্না ও মামুন মোল্যাসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে অনিমের ওপর হামলা করেছে। এতে তার হাত কেটে যায়। এই হামলার বিচার চাই।' ইউপি মেম্বার সিরাজ মোল্যা বলেন, 'আমার ভাই অথবা আমরা কেউই জড়িত না। আমার ভাই মামুন অনিমকে মারেনি।'