শহীদ জামসেদুর রহমানের স্মৃতি রক্ষার্থে মায়ের আর্জি
প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
চৌদ্দগ্রাম (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একমাত্র শহীদ জামসেদুর রহমান মিয়াজী জুয়েল। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশে হাজার হাজার জনতার সঙ্গে জামশেদুর রহমানও নেমে পড়েন। সেদিন বিকালে বিজয় মিছিলের একটি দল স্থানীয় থানা ঘেরাও করলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন জামসেদ। জামশেদ উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ফেলনা গ্রামের জালাল আহম্মেদ মিয়াজীর ছেলে। তিনি কুমিলস্নার ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী।
চৌদ্দগ্রামের 'বিলকিছ আলম পাঠাগার'র উদ্যোগে তার কবর জিয়ারত ও বাড়ি পরিদর্শনকালে কথা হয় জামসেদের মায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে এই আন্দোলনের শুরু থেকেই কুমিলস্না শহরে যুক্ত ছিল। মানুষের অধিকারের কথা ভেবে প্রতিদিন বেরিয়ে যেত। না করলেও শুনত না। সে ছোটবেলা থেকেই অনেক মেধাবী ও মানুষের জন্য নিবেদিত ছিল। শহরের আন্দোলনে নিজেকে বাঁচাতে পারলেও নিজ এলাকায় বিজয়ের দিনে আমার ছেলে শহীদ হয়। এখন তার স্মৃতি যেন সবাই ধরে রাখে তাই প্রত্যাশা।'
বাবা জালাল আহম্মেদ বলেন, 'অনেক কিছু দিলেও আমার ছেলে তো আর ফিরে আসবে না। আন্দোলনে চৌদ্দগ্রামে একমাত্র শহীদ জামসেদুর রহমান। তার স্মৃতি সমাজের দেশের প্রয়োজনে রক্ষা করবে কিনা দেশবাসী জানেন। তারপরও এলাকায় বা উপজেলায় একটা পাবলিক লাইব্রেরি করার দাবি করছি। তাহলে প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা তাকে জানবে, প্রেরণা পাবে বৈষম্যবিরোধী যে কোনো কাজে।'
বিলকিছ আলম পাঠাগারের সভাপতি কবি ইমরান মাহফুজ বলেন, 'সারাদেশে সাঈদ, মুগ্ধকে চিনলেও জামসেদের মতো শত শত তরুণদের অনেকে জানে না। সবাই জানা ও শহীদের মর্যাদা দেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে যুদ্ধের ময়দানে সবাই সমানতালে মর্যাদা ও সম্মান পাওয়ার দাবিদার। তাই উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি জানাই এতো বড়ো অর্জন উপজেলায় স্মরণীয় রাখতে তার নামে একটা পাবলিক লাইব্রেরি করা হোক।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক চৌদ্দগ্রামের নির্বাহী সম্পাদক এমদাদ উলস্নাহ, যায়যায়দিন চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি বেলাল হোসেন, কাজী মাঈন উদ্দিন, ইমাম হোসেন, ছাত্রনেতা শাহ রিয়াজ আলম শাওন প্রমুখ।