বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় আবু রায়হান রাহিম (২৯) নিহতের ঘটনায় তার মা রওশন আরা বেগম বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাত ২টায় সাবেক মেয়র-চেয়ারম্যানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২২ নেতাকর্মীর নামে হত্যা মামলা করেছেন। একই সঙ্গে আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাটি করেন। নিহত রাহিম উপজেলা যুবদলের সদস্য ও একটি টিসু কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।
আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক পৌর মেয়র বেলাল হোসেন, সভাপতি আমিনুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক, দুপচাঁচিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, মোমিনুর তালুকদার পলাশ, সজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক, রাশেদুল ইসলাম রানু, পলাশ, রবিউল, পৌর কাউন্সিলর আকরাম, পৌর কাউন্সিলর আশরাফুজ্জামান সাগর, বুলেট, ফারুক, লিখন, মামুনুর রশিদ, তালোড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র আমিরুল ইসলাম বকুল, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ রাজু, সৈকত, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহম্মেদুর রহমান বিপস্নব, আব্দুস সোবহান ও সানোয়ার হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট একটি মিছিল বের হলে নওগাঁ-বগুড়া সড়কের আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে এলে মিছিলে হামলা করা হয়। এতে রহিম গুলিবিদ্ধ হলে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাতেই রাহিমের জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট তার মৃতু্য হয়।
দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সনাতন চন্দ্র সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।