মাধবপুরে ইমাম নিয়োগ নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫০, দোকানপাট লুট
প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুরে মসজিদের নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই উপজেলার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এ সময় বিজয়নগর উপজেলার লোকজন মাধবপুর উপজেলা অবস্থিত হরষপুর স্টেশন বাজারে হামলা করে দোকানপাট লুটপাট করে। গুরুতর আহতদের মাধবপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় ঢাকা সিলেট ও ঢাকা- চট্টগ্রাম রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় হরষপুর মাদ্রাসার ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে মাধবপুর উপজেলার হরষপুর গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার প্রাক-হরষপুর গ্রামের লোকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধ মীমাংসার জন্য স্থানীয় প্রশাসন কিছুদিন আগে একজন ইমাম নিয়োগ দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। এরপর পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু শুক্রবার হঠাৎ জুমার পর উভয় গ্রামের লোকজন মসজিদের ইমামকে নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে প্রাক-হরষপুর গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাধবপুর উপজেলার হরষপুর রেলস্টেশনের ব্যবসায়ীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয় এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিয়ালউড়ি গ্রামের রাজু আহমেদ, সুলতানপুর গ্রামের জামাল, সামিদ মিয়া (৩৫), আরমান মিয়া (১৭) সুচন মিয়া (২৮), কাউছার আহমেদ (৩২), জামাল মিয়া (৫৫), ইয়াসিন শাহ (২১), রাসেল (১৬), ফুল মিয়া (২৮) চান মিয়া (৪৫), মঈদ উদ্দিন রাজুসহ (২৪) অন্য আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে হরষপুর রেলস্টেশন বাজারের প্রায় ৫০টি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। হামলায় হরষপুর রেলওয়ে স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম আন্তঃনগর রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ থাকে।
স্থানীয় ধর্মঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ পারুল জানান, বিজয়নগরের কতিপয় সন্ত্রাসী মাদ্রাসার মসজিদের অজুহাতে হরষপুর বাজারের অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন ব্যবসায়ীর দোকানপাট ভাঙচুর ও লুট করেছে। অনেকে আহত হয়েছে। তারা নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা করে নজিরবিহীন ঘটনা সৃষ্টি করেছে।
মাধবপুরের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাসুদ জানান, বর্তমানে কিছুটা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। খবর পাওয়ামাত্রই আমরা সেনাবাহিনী ও বিজিবির সহযোগিতা চেয়েছিলাম। রেলওয়ে স্টেশনের ব্যারিয়ার পড়ে থাকার কারণে আমাদের ঘুরে আসতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।