চারঘাটে জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সেবা ব্যাহত
প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রসহ ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা রয়েছেন আত্মগোপনে। এতে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা-পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা কার্যক্রমও।
উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইউনিয়ন সরেজমিন ঘুরে গেছে জনপ্রতিনিধিরা লাপাত্তা। উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নের পরিষদের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নের চেয়াম্যানরা রয়েছেন আত্মগোপনে। একমাত্র ব্যতিক্রম নিমপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আত্মগোপনে যাওয়া প্রতিনিধিরা হলেন- চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ আহমেদ লনি, নারী ভাইস চেয়ারম্যান জমেলা বেগম, পৌর মেয়র একরামুল হক, চারঘাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, সরদহ ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মধু, ভায়ালক্ষ্ণীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, শরুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউসুফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মাখন।
এসব চেয়ারম্যানের সচিবদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- চেয়ারম্যানরা গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অদ্যাবধি আত্মগোপনে রয়েছেন। দূর থেকে পরিষদের জরুরি কাজকর্মে স্বাক্ষর লাগলে তা তারা গোপনে করিয়ে আনছেন বলে দাবি করেন প্রতিটি পরিষদের সচিবরা।
অন্যদিকে সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতারা বলছেন এক সপ্তাহ ধরে তারা চেয়ারম্যানের নাগাল পাচ্ছেন না। পরিষদে এলে বলা হচ্ছে চেয়ারম্যানরা বাড়িতে আছেন। আবার বাড়িতে গেলে বলা হচ্ছে বাইরে আছেন। এভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চারঘাটের সেবাগ্রহীতরা।
বিষয়টি সম্পর্কে আত্মগোপনে থাকা চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদু হাসান বলেন, 'আসলে ৫ আগস্টের পরে বিভিন্ন অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা ভাঙচুর করা হয়েছে। তাতে আমরা শঙ্কিত ও নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। তাই পরিষদে বসে কিভাবে সেবা দেব।' এমন অভিযোগ পৌর মেয়র একরামুল হকসহ সব জনপ্রতিনিধির।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, থানার কার্যক্রম এখন স্বাভাবিক। পুলিশ এখন জনগণের সেবায় সোচ্চার রয়েছে। ফলে চারঘাটে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নেই।
সার্বিক বিষয়ে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম বলেন, জনপ্রতিনিধিরা ভয় না পেয়ে পরিষদে বসা উচিত।