নান্দাইলে কাজ না করেই ১০ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ
প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাবিটার আওতায় উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের হজরত জাহাঙ্গীর শাহ (র.)-এর মাজার সংস্কারসহ সেখানে প্রবেশের রাস্তা আরসিসিকরণের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। কিন্তু কাজ শেষ না করেই গত ৩০ জুন পুরো টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান প্রকল্প সভাপতি মো. খালিদ হোসেন খোকন। তিনি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।
নান্দাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় (পিআইও) সূত্রে জানা যায়, বিগত অর্থবছরে গৃহীত দুটি প্রকল্পের নাম হচ্ছে হজরত জাহাঙ্গীর শাহ (র.) মাজারে প্রবেশের রাস্তা আরসিসিকরণ ও জাহাঙ্গীর শাহ মাজার সংস্কার। রাস্তা আরসিসিকরণের বরাদ্দ ছয় লাখ ও মাজার সংস্কারের বরাদ্দ চার লাখ টাকা। সড়কসহ মাজারটি নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে অবস্থিত।
এ বিষয়ে খালিদ হোসেন খোকন বলেন, 'আমি নান্দাইলের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সোহেল মিয়াকে সড়কের নির্মাণ কাজ করার জন্য নিয়োজিত করেছিলাম। তিনি ঠিকাদারি কাজ শুরু করেও শেষ করছেন না। এখন বুঝতেই পারছেন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে ঠিকাদার হয়তো কাজটি শেষ করতে সময় নিচ্ছেন।' তবে ঠিকাদার সোহেল মিয়া জানান, প্রকল্পের সভাপতি খালিদ হোসেন খোকন তাকে মাত্র দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। ওই টাকা খরচ করে তিনি সড়কের মাটি খোদাইয়ের কাজ করে রেখেছেন। চুক্তির বাকি টাকা না পেলে তিনি কাজ করার ঝুঁকি নেবেন না।
জাহাঙ্গীর শাহ মাজার কমিটির সদস্য আবদুল আজিজ বলেন, 'আমি মাজারসহ মসজিদ ও মাদ্রাসা পরিচালনার কাজে সহায়তা করে থাকি। বিগত সরকারের আমলে প্রকল্প দুটি গ্রহণ করায় ভেবেছিলাম সড়ক ও মাজার সংস্কার হবে। কিন্তু আর্থিক বছর শেষ হওয়ার পরও প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়নি। কত টাকার প্রকল্প সেটাও আমাকে জানানো হয়নি। তবে লোকমুখে শুনেছি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।'
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান উলস্নাহ বলেন, পুরো টাকা ছাড় দেওয়া হয়নি। কাজ শেষ করলেই বাকি টাকা ছাড় দেওয়া হবে। অন্যদিকে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস গত ৩০ জুনের আগে সব প্রকল্পের টাকাই নিজ নিজ প্রকল্পের চেয়ারম্যানের নামে চেকের মাধ্যমে দিয়েছেন।