বেশ কয়েক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বর্ষার পানি তেমন একটা না হওয়ার কারণে খাল-বিলের ঐতিহ্য শাপলা শালুক এখন আর খুব একটা দেখা যায় না।
এক কথায় বর্ষায় এখন আর বিলের পানিতে শাপলা শালুক উৎপাদন হয় না। তাই চিরচেনা অপরূপ বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্যের সৌন্দর্যেও কেমন একটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না।
কিন্তু আশপাশের দুই-একটি উপজেলায় রক্তজবাসহ নানা প্রকারের শাপলা ও শালুক উৎপাদন হচ্ছে। ওই সব এলাকা থেকে শালুক এনে বাজারে বিক্রি করছেন দোকানিরা। দোকানে শালুকের চাহিদাও রয়েছে অনেক।
আড়াইহাজার পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেছে রাস্তার ধারে অনেক দোকানে শালুক বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা শালুক কিনছেন অনেক উৎসাহ ভরে।
একজন ক্রেতা জানান, 'আগে তো কোষা নৌকা দিয়ে পরিবারের ভাইবোন মিলে বিলে গিয়ে অনেক শাপলা শালুক তুলে আনতাম। বেশ কয়েক বছর ধরে বিলে বর্ষার পানিও তেমন একটা আসে না, শাপলা শালুকও তেমন উৎপন্ন হয় না। তাই বাজারে সুন্দর করে ঝাপিতে সাজানো কালো রঙের শালুক দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না।'
বিক্রেতা মাইনউদ্দিন জানান, 'আমাদের আড়াইহাজারে শালুক পাওয়া যায় না।
পার্শ্ববর্তী সোনারগাঁও উপজেলার নয়াপুর এলাকার কিছু কিছু স্থানে এবং রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকার কিছু স্থানে রক্তজবা শাপলাসহ বেশ কয়েক প্রকার শাপলা ও শালুক উৎপন্ন হয়। আমরা সেখান থেকেই এগুলো কিনে এনে বিক্রি করি।' তিনি আরও বলেন, দৈনিক আধা মণ থেকে এক মণ করে শালুক বিক্রি করতে পারছেন তিনি।
মাইনউদ্দিন জানান, শালুকেরও প্রকার ভেদ আছে। এর মধ্যে ওডা শালুক আছে, চাম্পা শালুক আছে আর আছে বেলে শালুক। তিনি প্রতি কেজি শালুক ৯৫ টাকা থেকে একশ' দশ টাকা দরে কিনে এনে একশ' থেকে একশ' বিশ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার উপজেলা কৃষি অফিসের হাইজাদী বস্নকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ফারুক ভূঁইয়া বলেন, আড়াইহাজার উপজেলার বিলগুলোতে আগের মতো শাপলা শালুক উৎপন্ন হয় না। এর কারণ হিসেবে বর্ষায় খুব একটা পানি না হওয়ার কথাই উলেস্নখ করেন।