কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট মেঘনা নদীর পাড় এলাকায় নৌযান থেকে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মতবিনিময় করেছে বিআইডবিস্নউটিএ'র কর্মকর্তা ও ইজারাদারের সঙ্গে। বুধবার লঞ্চঘাট বিআইডবিস্নউ অফিসে এ বৈঠক বসে।
বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভৈরবের সমন্বয়কারী গোলাম মহিউদ্দিন, শরিফুল হক জয়, সিহাব উদ্দিন তুহিন, বিআইডবিস্নউটিএ উপ-পরিচালক মহিউদ্দিন খান, সহকারী পরিচালক মো. খাইরুজ্জামানের সঙ্গে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধের আলোচনা হয়। এ সময় বিআইডবিস্নউটিএ উপ-পরিচালক মহিউদ্দিন খান অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধে কঠোর অবস্থানে যাবেন বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।
সমন্বয়কারী শিক্ষার্থীরা বলেন, 'আমরা ভৈরব বাজার দ্রব্যমূল্য মনিটরিংয়ে বের হয়ে ভৈরব নদীবন্দরের চাঁদাবাজির বিষয়টি অবগত হই। ভৈরবের ব্যবসায়ীদের দাবি ইজারাদারদের নৌপথে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ফলে অতিষ্ঠ ভৈরবের ব্যবসায়ীরা। নৌপথে যদি এভাবে চলতে থাকে খুব শিগগিরই ভৈরব বাজারের ব্যবসা বাণিজ্য ধ্বংস হয়ে যাবে। আজকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিআইডবিস্নউটিএ নিয়ম অনুযায়ী ভাউচারের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে হবে। তা না হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা প্রশাসনের সহযোগিতায় কঠোর অবস্থানে যাবে।
বিআইডবিস্নউটিএ উপ-পরিচালক মহিউদ্দিন খান বলেন, 'অতীতে অনেক অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। প্রমাণের অভাবে প্রতিহত করতে পারিনি। এখন ছাত্রসমাজ যেহেতু এগিয়ে এসেছে আমরা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে সাহায্য করব। ভৈরব বাজারের ব্যবসা বাণিজ্যের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে যা প্রয়োজন তাই বিআইডবিস্নউটিএ করবে।