ক্রান্তিকালেও সেবা অব্যাহত রেখেছিল বিসিসি

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

বরিশাল অফিস
ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের কারণে বরিশালের বিভিন্ন সরকারি-আধা সরকারি দপ্তরে কাজে শিথিলতা দেখা দিলেও তা কাটিয়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে জনগণের সঙ্গে সবচেয়ে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) পুরনো গতিতে কার্যক্রম শুরু করেছে। আন্দোলনের ক্রান্তিকালেও করপোরেশন নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ, সড়কের বৈদু্যতিক ব্যবস্থাপনা ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে। চলছে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমসহ সাধারণ সব সেবা। কোটা আন্দোলনের কারণে শেষের দিকে বিভিন্ন সরকারি আধা সরকারি দপ্তরে কাজে ব্যাপক সমস্যা দেখা দেয়। সবশেষ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করে কিছু দুষ্কৃতকারী। এর মধ্যে বাদ যায়নি বরিশাল সিটি করপোরেশনের একটি ভবনও। দুর্বৃত্তরা করপোরেশনের দুটি ভবনের মধ্যে এ্যানেক্স ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে ওই পরিস্থিতিতেও বরিশাল সিটি করপোরেশন জনসাধারণের বিশেষ সেবা চলমান রাখে। করপোরেশন সূত্র জানায়, আন্দোলনের কারণে যখন কারফিউসহ উত্তপ্ত নগর তখনো করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ময়লা সংগ্রহ করেছেন। নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়েছে সড়কের ময়লা অপসারণ। পানি সরবরাহ ও সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ছিল স্বাভাবিক সময়ের মতই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুলস্নাহ খোকন সেরনিয়াবাত কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকলেও রেখেছেন সার্বিক খোঁজখবর। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই পুরোদমে সব সেবা স্বাভাবিক গতিতেই শুরু করে করপোরেশন। ট্রেড লাইসেন্স প্রদান, পানির সংযোগ, পস্ন্যান জমাসহ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের কাজও শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে চলমান সড়ক ও ড্রেনের কাজ। করপোরেশন তার কার্যক্রমের স্বাভাবিকতায় দ্রম্নত ফিরে আসার পেছনে মেয়রের নিরপেক্ষ ভূমিকা বিশেষ প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের অনেকেই জানান, বর্তমান সিটি মেয়র আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেও নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি করপোরেশনকে দল মতের ঊর্ধ্বে নিয়ে গেছেন। তার অফিসকে সবার জন্য উন্মুক্ত করেছেন। শুনেছেন সবার কথা। বিশেষ করে আওয়ামী রাজনীতিকে কেন্দ্র করে অন্য কোনো দলের সঙ্গে বিবাদে জড়াননি। তাই সব দলের সমর্থকদের কাছে তার আলাদা একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। ফলশ্রম্নতিতে শেখ হাসিনা পদত্যাগের দিন বরিশালের সাবেক সিটি মেয়র ও সংসদ সদস্যসহ অনেক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িঘরে দুর্বৃত্তরা আগুন দেওয়া ও লুটপাট চালালেও তার বাসভবনে কোনো আক্রমণ চালায়নি। এমনকি তার বিরুদ্ধে কোনো সেস্নাগান বা আন্দোলনও হয়নি। অর্থাৎ দায়িত্ব গ্রহণের ৮-৯ মাসের মধ্যেই বরিশালের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন তিনি। আর এটিকে কাজে লাগিয়েই তিনি সবাইকে নিয়ে আগামীর বরিশাল গড়তে চান বলে করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন জানান, আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হলেও বরিশালে তা হয়নি। আর দুর্বৃত্তরা একটি ভবনে আগুন দিলেও এতে তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। কারফিউ ও আন্দোলনের মধ্যেও বরিশাল সিটি করপোরেশন জনসাধারণের জন্য নিয়মিত সেবা দিয়ে গেছে। মেয়র নিয়মিতভাবে সেবা সংক্রান্ত খোঁজ রাখছেন।