নামজারি আবেদনের ১০-১৫ দিনের মধ্যে হাতে পর্চা পেয়ে যাচ্ছেন ভূমি মালিক। সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত কোনো টাকা দিতে হচ্ছে না। একইভাবে জমি-সংক্রান্ত যে কোনো কাজে অফিসে আসা নাগরিকদের কোনো হয়রানির শিকারও হতে হচ্ছে না। সব কাজ নিয়মমাফিকভাবে হয়ে যাচ্ছে। মাসের পর মাস আর কোনো জমির মালিককে ঘুরতে হচ্ছে না, ফলে খুশি সাধারণ মানুষ। কাজের স্বচ্ছতা ও সহজীকরণের এমন চিত্র ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের। ইতোমধ্যে কাজের স্বচ্ছতার জন্য জেলার ছয় উপজেলার মধ্যে সূচকের শীর্ষে উঠে এসেছে।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে মো. শাহিন আলম যোগদানের করেন। এরপর এই অফিসের চিত্র পাল্টে যায়। তিনি প্রথম তিন মাসেই প্রায় তিন হাজার নামজারি ও মিসকেস সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া অফিসের সব কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছেন। এখানে যোগ দেওয়ার পর পাঁচটি উপজেলা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রম্নত সম্পন্ন করেছেন।
জানা গেছে, সরকারি নিয়ম রয়েছে, একটি নামজারি ২৮ দিনে সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে এই কাজে ২-৬ মাস পর্যন্ত লেগে যেত। একইভাবে মিসকেস নিয়ে মানুষ বছরের পর বছর হয়রানি হয়েছেন এই অফিসে।
কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন আড়পাড়ার ফারুকুজ্জামান নামে এক ভূমির মালিক জানান, 'আমার একটি মিসকেস ছিল। আবেদন করার মাত্র ৪০-৪৫ দিনে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে একই অফিসে একটি মিসকেস শেষ হতে ১-৩ বছর পর্যন্ত লেগে যেত। সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে শাহিন আলম যোগদানের পর চিত্র পাল্টে গেছে।'
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহিন আলম বলেন, 'তরুণ প্রজন্মের একজন অফিসার হিসেবে দ্রম্নততা ও স্বচ্ছতা আমার কাজের প্রধান মানদন্ড। জনগণের হয়রানি দূরীকরণ, অফিসের সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'