সার ও কীটনাশকের দাম কমানোর দাবি চাষিদের
সালথায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা
প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
কৃষিপ্রধান এলাকা হিসেবে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা অন্যতম। এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বছরে তিনটি ফসল- পাট, পেঁয়াজ ও ধান সমান তালে উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে দিন দিন কৃষি উপকরণ- সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। তাই এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সার ও কীটনাশকের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
বর্ষা মৌসুমে এই উপজেলায় ১২ হাজার ২৯৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও বোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাট কাটার পরেই জমিগুলোতে ধানের বীজ বপন ও চারা রোপণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যে ধানের গাছে মাঠ সবুজে ছেয়ে গেছে। তবে সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় চিন্তিত চাষিরা। সার ও কীটনাশকের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কৃষক আলিমদ্দিন ও আবুল কালাম বলেন, 'এ বছর পাটের ফলন কম, আবার দামও কম। তাই বেশি করে ধান চাষ করেছি। মাঠে ধান গাছ খুব ভালো আছে। অতিরিক্ত পানি হয়ে ক্ষেত তলিয়ে না গেলে এবার ধান ভালো হবে বলে আশা করছি।'
ভাওয়াল ইউনিয়নের ধান চাষি কাইয়ুম মোল্যা বলেন, 'ক্ষেতে ধানের গাছ খুব ভালো আছে। তবে সার ও কীটনাশকের দামটা একটু কম হলে কৃষকদের জন্য ভালো হতো। আমরা সরকারের কাছে দাবি করব, কৃষকের দিকে তাকিয়ে যেন সার ও কীটনাশকের দাম কমানো হয়।'
উপজেলার বালিয়া বাজারের সার ব্যবসায়ী মো. মোশাররফ তালুকদার বলেন, 'সরকারি নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী আমরা সার ও কীটনাশক বিক্রি করছি। বাড়তি দামে সার ও কীটনাশক বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই।'
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, 'এ বছর উপজেলায় ১২ হাজার ২৯৭ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাট কাটার পরেই ধানের বীজ বপন ও চারা রোপণ শুরু হয়। আর ৪-৫ দিন পরেই ধানের চারা রোপণের কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হবে। আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়েছি।'
তিনি আরও বলেন, 'সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে যদি কোনো ব্যবসায়ী বেশি দামে সার ও কীটনাশক বিক্রি করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'