বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের বাড়ৈ আলগী গ্রামের মাঈন উদ্দিন মিয়া নামে এক যুবক গুলিতে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হন। কিন্তু অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করতে পারছেন না। ফলে মৃতু্যর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঢামেকে থাকা খাওয়া ও অন্যান্য খরচ ব্যয়বহুল হওয়ায় তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় বর্তমানে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় শিবপুরের ইটাখোলায় আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ইটাখোলা হাইওয়ে থানা পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন মাইন উদ্দিন। তিনি এখন নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তার বাবা একজন সাধারণ কৃষক। তিনি নিজেও একজন দিনমজুর ছিন।
ফলে টাকার অভাবে সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। অপারেশন করতে না পারায় শরীর থেকে এখনো গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী ২৩ হাজার টাকা তুলে দিলেও তা অপারেশন করার জন্য যথেষ্ট নয়। শরীরের গুলি বের করতে কয়েক লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানা গেছে। মাইন উদ্দিন বাড়ৈ আলগী গ্রামের মিলন খানের ছেলে। তার স্ত্রী ও ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
মাইন উদ্দিনের বাবা মিলন মিয়া বলেন, 'আমার ছেলে ছাত্র আন্দোলন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা গরিব মানুষ। এখন টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। আপনারা একটু আমার ছেলের পাশে দাঁড়ান।'