ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এখন থেকে নাগরিকরা রাষ্ট্র প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধা পাবে। যে সব ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা অনুপস্থিত সেখানে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবরা সেবা প্রদান করবেন। তাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
গত সোমবার বিকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় ও থানার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, 'আমরা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রতিটা ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের নিকট বার্তা পাঠিয়েছি। আশা করি, তারা শিগগিরই কর্মস্থলে ফিরবেন। ইউনিয়ন পরিষদ সচিবরা যেহেতু আছেন সেক্ষেত্রে নাগরিক সেবা ব্যাহত হবে না।'
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সফরসঙ্গী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে একটি কুচক্রি মহল বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এ কাজে শিক্ষার্থীদের কোনো হাত নেই। আমি সবাইকে অনুরোধ করব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কেউ যেন আপনাদের দিকভ্রান্ত করতে না পারে।'
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলাকে মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ এই তিনটি ভাগে বিভক্ত করে আমাদের তিনটি প্রতিনিধি দল নিয়োজিত করা হয়েছে। তারা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে জনজীবন স্বাভাবিক করতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে এবং আগামীতেও করবে।
দিনব্যাপী এই পরিদর্শন কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইনামুল হাছান, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া থানার ওসি মিজানুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।