'ছাত্র-জনতার গণঅভু্যত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন একদিকে যেমন মুক্তি, তেমনি সবার জন্য একটি শিক্ষা'- বলে উলেস্নখ করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
তিনি গত শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুনিয়াউট নিজ বাসভবন চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, 'জনগণই হচ্ছে রাজনৈতিক দলের শক্তি। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের এই পতন থেকে শিক্ষা না নিয়ে জনবিচ্ছিন্ন হলে আমাদেরও পতন হবে।' তাই জনবান্ধব রাজনীতি করতে তিনি দলের সব নেতাকর্মীকে নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান ও অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন ধরনের হুমকি বা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের দলের নেতাদের জানাবেন।
তিনি বলেন, 'ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরশাসকের পতন হওয়ার পর জনতার ঐতিহাসিক বিজয়ের আনন্দে কিছু সুযোগ-সন্ধানী অপশক্তি বিভিন্ন রকমের সংঘাত, ভাঙচুর, লুটতরাজ, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপকর্ম করেছে। ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবও ভাঙচুর করা হয়। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই আমি ও আমার দলের নেতাকর্মীরা এ ধরনের অপকর্ম সমর্থন বা প্রশ্রয় দেই না। ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর জানমাল রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন সংখ্যালঘু, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী বা ভিন্নমতের রাজনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।' তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান মীর মুগ্ধসহ সারাদেশে নিহত শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও আহত ছাত্র-জনতার দ্রম্নত আরোগ্য কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোলস্না কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়া খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক, শহর বিএনপির সাবেক আহবায়ক জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোলস্না, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ প্রমুখ।