সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কোম্পানীগঞ্জ থানার কার্যক্রম শুরু, জনমনে স্বস্তি

প্রকাশ | ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
গত শনিবার দুপুর থেকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় স্বল্প পরিসরে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জানা গেছে, সম্প্রতি চলমান পরিস্থিতির আলোকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে জনমনে আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় থানায় নিরাপত্তা জোরদারে মোবাইল ও স্ট্যাটিক টহল পরিচালনাসহ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। জননিরাপত্তা হানিকর কর্মকান্ড প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর সহায়তায় জরুরি মোবাইল সেবা চালু করেছে। এতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, 'পুলিশ জনতার বন্ধু। কিন্তু আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথার বাইরে যেতে পারি না। আমার কোম্পানীগঞ্জ থানায় কোনো ছাত্রের সঙ্গে পুলিশের মতবিরোধ হয়নি। আমাদের কাছে সবাই সমান। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের ফলে কোম্পানীগঞ্জে শৃঙ্খলা এবং জনমনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে থানায় পুলিশ কাজে যোগদান করায় মানুষ আরও বেশি খুশি হয়েছে।' কোম্পানীগঞ্জ থানায় সেবা নিতে আসা একজন বলেন, 'সব মানুষ যেমন খারাপ নয়, তেমনি সব পুলিশও খারাপ নয়। পুলিশ যে আমাদের বন্ধু সেটা আমরা গত কয়েক দিনে হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পেরেছি। আমরা অনেকেই বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবে পুলিশ থাকলে এত ক্ষতি হতো না। থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আমরা খুশি। পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।' নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, 'নোয়াখালী জেলায় আমরা শুরু থেকেই ছাত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করেছি। আমি একা গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও সুন্দরভাবে কর্মসূচি শেষ করেছে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানায় অগ্নিসংযোগ হয়েছে। সোনাইমুড়ী থানায় চার পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমরা এই দুই থানা ছাড়া বাকি ৮ থানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছি।'