অর্থাভাবে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের তেকানীতে অবস্থিত বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাঁধটি নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরে এলাকাবাসী জানান, বাঁধটি নির্মিত হলে তেকানী ইউনিয়নের ১০টি গ্রামসহ ভাটিতে অবস্থিত সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের জনপদসমূহের শত শত বাড়িঘর আবাদি জমি যমুনার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
এ লক্ষ্যে চলতি বছরের শুরুতে যমুনার ডান তীরের ন্যায় বাম তীরের তেকানীতে যমুনার একটি শাখা নদীতে ২ কি.মি. বাঁধ নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য জয়ের আশ্বাসে এবং তার সহযোগিতায় ইতোমধ্যে শাখা নদীর বাঁধ নির্মাণ শেষ হয়েছে।
বাঁধ নির্মাণের সার্বিক দায়িত্বে থাকা আব্দুস ছালাম বিএসসি জানান, সরকারি বরাদ্দ পাওয়া গেছে মোট ৭৬ লাখ টাকা। এর বাইরে বরাদ্দের আশ্বাসে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার কাজ করেছেন।
আব্দুস ছালাম বিএসসি আরও জানান, বাঁধের পূর্বাংশের মূল ভূখন্ড সংলগ্ন উত্তরে পাকা রাস্তা পর্যন্ত ১ কি. মি. লিংক রোড তৈরি না হলে যমুনার শাখা নদীর বাঁধ নির্মাণ অকার্যকর হবে। কেননা বাঁধের উজান দিয়ে পানি প্রবেশ করলে ভাঙনের ঝুঁকি থেকে যাবে। তেকানী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান বাঁধটি নির্মাণ অতি জরুরি। বাঁধ নির্মাণে আমরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।