রামগতিতে সেতু ধসে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন
প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
রামগতি (লক্ষ্ণীপুর) প্রতিনিধি
লক্ষ্ণীপুরের রামগতি উপজেলা সদর আলেকজান্ডার-সোনাপুর আঞ্চলিক সড়কের নবিয়ল মিয়ার বাড়ি এলাকায় কালির খালের উপর নির্মিত সড়ক ও জনপথ বিভাগের সেতুর ধসে পড়ে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে সেতুর দুই পাশের সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির স্রোত খাল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সড়কটি ধসে পড়ে। এতে করে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া আলেকজান্ডার মেঘনা বিচে ঘুরতে আসা হাজার হাজার পর্যটক বিপাকে পড়েন। এ সড়ক ব্যবহার করে ভোলা ও লক্ষ্ণীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করতেন এবং মালবাহী, ট্রাক, পিকাপ, সিএনজিসহ বিভিন্ন যান চলাচল করতেন। এই সেতুর সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার চলাচলকারী ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন গেলে দেখা যায়, উপজেলার অত্যন্ত জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের চরআলগী ইউনিয়নের কালীর খালের উপর নির্মিত ৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির পুরোটাই ধসে পড়েছে। সেতু ও সড়কের দুই পাশেই স্থানীয় লোকজন গাছ দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে দিয়েছে যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। এছাড়াও সেতুর দুই পাশের বিশাল আকারের বেশ কয়েকটি ফাটল দেখা দেওয়ায় জনমনে স্থায়ী দুর্ভোগের এবং সড়কের কয়েক মিটারের মধ্যে মেঘনা নদীর তীর হওয়ায় প্রবল জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বিকল্প হিসেবে নুরিয়া হাজির হাট থেকে ভাই ভাই তেমুহনি হয়ে একটি গ্রামীণ সড়ক দিয়ে চলাচলের জন্য স্থানীয় প্রশাসন পরামর্শ দিলেও সড়কটি প্রশস্ত কম ও আধাপাকা হওয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছাড়া ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। অন্যদিকে অতিরিক্ত যান চলাচলের চাপে গ্রামীণ এই সড়কটিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, বিচ্ছিন্ন হওয়া সড়কটি সংস্কার করার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
লক্ষ্ণীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিন ধরে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। ইতিমধ্যে জিওব্যাগসহ বেশ কিছু সংষ্কার সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য এক এলাকা থেকে সরঞ্জাম এনে ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর স্থলে দ্রম্নত একটি বেইলি ব্রিজ স্থাপন করা হবে।