শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ডুমুরিয়া উপজেলায় কর্মরত পাঁচ সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মোটর সাইকেল পোড়ানের ঘটনায় 'ডুমুরিয়া সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি'র নেতারা নিন্দা জানিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডুমুরিয়া প্রতিনিধি সুব্রত ফৌজদারকে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ডুমুরিয়া বাসস্ট্যান্ডে বেপরোয়া মারপিট করে এবং তার মোটর সাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়। ওইদিন বিকালে দৈনিক তথ্য ও এশিয়ান টেলিভিশন'র ডুমুরিয়া প্রতিনিধি আকতারুজ্জামান লিটনের চুকনগরে নর্ডুয়া গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর, তার মা'কে মারধর ও তার মোটর সাইকেলটিও পুড়িয়ে দেয়। ওইদিন সন্ধ্যার আগে চুকনগর বাজারে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ডুমুরিয়া প্রতিনিধি সুমন ব্রহ্মের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করে। তার মোটর সাইকেল ও ছেলের বাইসাইকেলটিও পুড়িয়ে দেয়। এর-পরদিন সকালে দৈনিক সংযোগ বাংলাদেশ'র ডুমুরিয়া প্রতিনিধি মাসুম গাজী ও দৈনিক রাজপথের দাবি'র ডুমুরিয়া প্রতিনিধি নাসিম গাজীকে বাগাছড়া গ্রামের বাড়িতে না পেয়ে তাদের কম্পিউটার-চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে।
ওইসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ডুমুরিয়া সদরে শনিবার সকাল ১১টায় 'ডুমুরিয়া সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি'র সভাপতি কাজি আবদুলস্নাহর সভাপতিত্বে এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় উদ্ূ্ভত পরিস্থিতির আলোচনা করে সাংবাদিকদের ওপর ওইসব হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। আর কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতি দল-নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়। ওই সভায় বক্তব্য দেন, সাংবাদিক অরুণ দেবনাথ, আবদুল লতিফ মোড়ল, মাহাবুবুর রহমান, সুব্রত ফৌজদার, এস রফিকুল ইসলাম, সেলিম আবেদ, শেখ সিরাজুল ইসলাম, শেখ আবদুস সালাম, গাজী আবদুল কুদ্দুস, আশরাফুল আলম, প্রমুখ।