মধুখালীর হাটে ধানের চারার সরবরাহ বেশি, ক্রেতা কম
প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন হাটে রোপা আমন ধানের চারা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর রোপা আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনার আশা করছে কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর।
উপজেলার সবচেয়ে বড় দুইটি হাট মধুখালী সদর ও কামারখালী হাটে চারা থাকলেও কৃষকদের ভিড় নেই তেমন। শুক্রবার মধুখালী হাটে ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে একবোঝা চারা ক্রয় করছেন কৃষকরা। আর টোল আদায় করছেন প্রতি বোঝা ২০ টাকা করে।
মধুখালী হাটে চারা বিক্রেতা জামিরুল শেখ বলেন, হাটে চারার আমদানিও ব্যাপক। আমদানি থাকলেও ক্রেতা সে তুলনায় কম। এই মৌসুমে এ এলাকায় বৃষ্টি কম হওয়ায় পাট কাটতে দেরি হয়েছে। এখনো অনেক জমিতে পাট থাকায় চাষিরা ধীরে ধীরে চারা রোপণ করেছেন।
বাজারের ইজারা সংগ্রহে থাকা মো. ইউসুফ ফকির বলেন, এ মৌসুমে চারার আমদানি ব্যাপক। তবে সে তুলনায় ক্রেতা কম। এবার চারা নিয়ে যারা আসছেন তা অনেক ভালো মানের হয়েছে।
মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহাবুব ইলাহী জানান, রোপা আমনের বিরি-৮৭,৩৭,৭৫, বিনা-৭, আঠাশসহ কয়েক জাতের ধানের চারা সাধারণত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আবাদ করা হয়ে থাকে। বৃষ্টি কম হওয়ায় এবার চারা অনেকে দেরিতে লাগাবে। সেপ্টেম্বর (ভাদ্র মাস) ধরে রোপা আমনের চারা রোপণ করতে পারবে। চলতি বছর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছর ছিল ৮ হাজার ৬৯০ হেক্টর।
ক্রেতা উপস্থিতি কম বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অনেকে বীজতলা তৈরি করেছেন। যার ফলে চারা এ বছর বেশি, ক্রেতা কম। শেষের দিকে আরও ক্রেতা বারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।