পঞ্চগড়ে শৃঙ্খলা রক্ষায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা চাইলেন পুলিশ সুপার

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন জেলা পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা। মঙ্গলবার তৃতীয় শক্তি কর্তৃক অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটতরাজের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা এ সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, 'পুলিশ বাহিনীর কাজ হচ্ছে সমস্ত সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া। বিগত দিনে পঞ্চগড় পুলিশের প্রত্যেকটি সদস্য কাজ করেছে। আপনারা জানেন এখানে আন্দোলন চলাকালে আমরা ছাত্রদের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা আমাদের ভূমিকা পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করেছি।' এ সময় তিনি পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ যে কোন ধরনের অপরাধ দমনে সহযোগিতা কামনা করেন। এদিকে, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটতরাজের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের জজকোর্ট এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, সহ-সমন্বয়ক মোকাদ্দেছুর রহমান সান, খোরশেদুর রহমান, মখলেছার রহমানসহ সমন্বয়ক নেতারা বক্তব্য রাখেন। এ সময় তারা তৃতীয় শক্তির দ্বারা পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠনের মাধ্যম এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি বলেন, 'আমরা সোমবার স্বৈরাচার মুক্ত করে দেশকে স্বাধীন করলেও মনে শান্তি নেই। কেননা গতকাল যেসব ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। একটি চক্র সুযোগ নিয়ে মানুষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে অগ্নিসংযোগ করেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনায় ছাত্ররা কখনো জড়িত ছিল না, এখনো নেই। আমরা এসব সমর্থন করি না। আপনারা সবাই সজাগ হবেন।