তিতাসে রাতভর সংঘর্ষে দুই পুলিশ নিহত :গুলিবিদ্ধ শতাধিক

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

তিতাস (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
কুমিলস্নার তিতাসে গত সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এতে দুই পুলিশ নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শতাধিক। সোমবার দুপুর থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লোকজন থানা ভবনে আগুন লাগিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবি বাস্তবায়নে সোমবার সকাল ৯টা থেকে আন্দোলকারীরা কালাইগোবিন্দপুর আওয়ামী লীগ নেতাদের একাধিক প্রতিষ্ঠান, কুমিলস্না-২ আসনের সাবেক এমপি সেলিমা আহমাদ মেরীর রাজনৈতিক কার্যালয় ফুলচাঁন ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনের পরিধি বাড়তে থাকে। উপজেলার গৌরীপুর-হোমনা সড়কের সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বাতাকান্দি বাজার থেকে কড়িকান্দি বাজার পর্যন্ত রাস্তার আশপাশে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা আওয়ামী লীগ (কড়িকান্দি বাজার), যুবলীগ কার্যালয় (হাসপাতাল গেট), ছাত্রলীগের কার্যালয় (গাজীপুর বাস স্টেশন), কড়িকান্দি ইউপি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এদিকে, কড়িকান্দি বাজার থেকে আন্দোলনকারীরা পুনরায় বাতাকান্দি যাওয়ার পথে তিতাস থানায় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি করে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একাধিক আন্দোলনকারী মারা গেছে এমন গুজবে পার্শ্ববর্তী দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর অংশের আন্দোলনকারীরা তিতাসের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেয়। বিকাল ৩টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের জরুরি বিভাগ থেকে জানা যায়, এ ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেকে পাঠানো হয়। গুলি ও টিয়ারশেল শেষ হয়ে গেলে জিম্মি থাকা পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে দুই পুলিশ নিহত হন। তারা হলেন- এসআই রেজাউল ও পুলিশ সদস্য মো. মাইনউদ্দিন। নিহতদের লাশ তাদের আত্মীয়স্বজন মঙ্গলবার বেলা ১১টায় এবং দুপুর ২টায় ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুনরায় লোকজন থানা ভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়।