ছাত্রদের একদফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগে সারাদেশে আনন্দ মিছিল এবং সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী, বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার জানান, মৌলভীবাজারে জেলা জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের যৌথ উদ্যোগে শোকরানা সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে প্রেস ক্লাব চত্বরে শোকরানা সমাবেশ শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা সাড়ে ১২টায়।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন শাহর সঞ্চালনায় দুপুর ১২টার দিকে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে সমাবেশ পৌঁছান জেলা আমীর প্রকৌশলী এম শাহেদ আলী। সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য ও সিলেট আঞ্চলিক টিম সদস্য দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, সাবেক জেলা আমীর আব্দুল মান্নান, নায়েবে আমির মওলানা আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি ইয়ামীর আলী, পৌর আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমীর ফখরুল ইসলাম, পৌর সেক্রেটারি মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী, রাজনগর উপজেলা আমির আবুর রাইয়ান শাহিন, সদর উপজেলা সেক্রেটারি আশিক আল রশিদ চৌধুরী, ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার শহর সভাপতি তারেক আজিজ ও জেলা সভাপতি আলম হোসাইন প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর জানান, মাদারীপুরে পৃথকভাবে আনন্দ মিছিল করেছেন জেলা বিএনপি ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে লেকেরপাড়ের মুক্ত মঞ্চ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুরান বাজার গিয়ে শেষ হয়। আনন্দ মিছিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। অন্যদিকে পৌর ঈদগাহে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহানের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করা হয়। এ সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরে বিশাল আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আনন্দ মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষক দল, তাঁতী দলসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
এর আগে দলীয় কার্যালয় চত্বরে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী টিটুল, সহ-সভাপতি মোর্শেদ হাবীব সোহেল, আব্দুল আউয়াল আরজু, মোশাররফ হোসেন বাবু, অ্যাড. মঞ্জুর মোর্শেদ বাবু, আনিছুর রহমান নাদিম, মো. ইলিয়াস হোসেন, বিএনপি নেতা ডা. আ.খ.ম. আসাদুজ্জামান সাজু, অ্যাড. মিজানুর রহমান মিজান, শফিকুল ইসলাম লিপন, ইউনুস আলী খান দুখু, তারেকুজ্জামান তারেক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গণঅভু্যত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদি স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার জালিম সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জনগণকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। জনগণ কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি। জনগণ স্বাধীন দেশে আজ স্বাধীন হিসেবে মুক্ত হয়েছে। তারা নেতাকর্মীকে শান্ত থেকে সবাইকে মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জে জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দমিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার উপজেলার ইস্পাহানি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে আনন্দ মিছিলটি রুহিতপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি ইস্পাহানি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সোহানুর রহমান সোহেল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কর্মী ও সাবেক ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলাম রাজু, বাবর মিয়া, শাওন আহমেদ, আসাদ, সজল, মাহবুবুর রহমান, মো. নোমান, হাসিবুরসহ কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী নেতৃবৃন্দ।
সেখানে আনন্দ স্স্নোগানের সঙ্গে রঙ মেখে ও পতাকা উড়িয়ে আনন্দ উলস্নাস করেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ইস্পাহানি কলেজের একটি ভবন আন্দোলনে নিহত কলেজ শিক্ষার্থী শহীদ রিয়াজের নামে নামকরণ ও উপজেলা চত্বরে শহীদ রিয়াজের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি রাখেন।
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ধানগড়া পৌর এলাকায় জড়ো হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শেখ রিয়াদের নেতৃত্বে হাজারো ছাত্র-জনতা বিজয় উলস্নাস করেছেন। সেই সঙ্গে বিজয় উলস্নাস করে রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপি, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ। অপর দিকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের পক্ষ থেকে শুকুরআনা নামাজ পড়ে সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
এ সময় শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, নারী থেকে কিশোরী সব বয়সিকে উলস্নাস করতে দেখা যায়। ছাত্র ও সাধারণ জনতাকে স্যালুট দেওয়ার পাশাপাশি ফুল দিয়ে ধন্যবাদ জানান জনতা।
ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি জানান, শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিজয় উলস্নাসের মিছিল ও স্থাপনা ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা থানা মোড়ে সমবেত হয়। অপরদিকে ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিজয়ের আনন্দ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে আনন্দ মিছিল করেছে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। আনন্দ মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে কাশিয়ানী প্রেস ক্লাবের সামনে শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি গোলাম মোস্তফা মোল্যার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সম্পাদক শেখ সেলিমুজ্জামান, সিনিয়র নেতা শফিকুর রহামন শফিক, মোস্তফা কামাল বকুল লস্কার, জেলার শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মতিউর রহমার রনি, যুবদলের আহবায়ক মো. আরিফুর রহমান পাভেল প্রমুখ।
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কোটাবিরোধী ছাত্র-ছাত্রী ও জনতার বিজয় মিছিল হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে স্স্নোগান সমেত খন্ড খন্ড মিছিল এসে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মিলিত হয় এবং পরিষদের মুক্তমঞ্চে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলু, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপি নেতা শাহজাহান করিব লিটন, খন্দকার গিয়াস উদ্দিন, খন্দকার জুলহাস উদ্দিন, হাবিবুর রহমান ভুট্টো, উপজেলা সমন্বয়ক আবু হাসেম প্রমুখ।
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোণার পূর্বধলায় উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিশাল বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী সাধারণ জনতা অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আলম তালুদকার, সাবেক উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাইদুর রহমান তালুকদার, উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ফকির, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ তালুকদার, সায়েদ আল মামুন শহীদ ফকির, সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি জানান, ভোলার লালমোহনে উপজেলা বিএনপি এবং জামায়াতের উদ্যোগে পৌরশহরের চৌরাস্তার মোড়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যেসব জুলুম, নির্যাতন, চাঁদাবাজি এবং জবরদখল হয়েছে তার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ জন্য সব নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের সংগ্রাম ছিল মুক্তির ও স্বৈরাচার নিপাতের। আমরা এখন তা পেয়েছি। নতুন এই স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে যারা নিহত হয়েছেন আমরা তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সফিকুল ইসলাম বাবুল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল আজিজ শাহীন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাহিনুল ইসলাম কবীর, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল হক, সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আজিম উদ্দিন, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। সকাল ১০ থেকে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে আলমপুর চৌরাস্তায় জমা হন। পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের করা হয়।
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিজয় মিছিল করেছে সাধারণ জনগণ, ছাত্র সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বৈরাচার সরকারের পতনের খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করছেন সাধারণ মানুষ। সোমবার বিকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বের হয় উৎসুক জনতা। মিছিল থেকে শেখ হাসিনার পালানো নিয়ে বিভিন্ন সেস্নাগান দিয়ে মুখরিত করে আনন্দ উলস্নাসে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামে সর্বস্তরের মানুষ। পরবর্তীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় সর্বস্তরের অংশগ্রহণে বিজয় মিছিল বের করেন।
মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি জানান, নরসিংদীর মাধবদীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন। বিএনপি, জামায়াত ও ছাত্রশিবির আলাদা আলাদাভাবে মাধবদী বাজারে বিজয় মিছিল বের করে। বেলা ১১টায় বিএনপি নেতাকর্মীরা মাধবদী এএসপি স্কুল মাঠ থেকে পৌরসভা, বড় মসজিদ, জলপট্টি রোড হয়ে গরুরহাট মোড় গিয়ে আনন্দ মিছিলটি শেষ করে। এ সময় বিএনপি নেতা আমান উলস্নাহ আমান, কাজী ওয়াসিম, মফিজুল ইসলাম, জাকারিয়া, মাহে আলম চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন আনু, শেখ ফরিদ, মাহফুজুর রহমান কালামসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী-ছাত্রশিবির জোহর নামাজের পর মাধবদী বাজার জালপট্টি মসজিদ থেকে জলপট্টি, বড় মসজিদ, পৌরসভা রোড হয়ে মাধবদী বাসস্ট্যান্ডে এসে আনন্দ মিছিলটি শেষ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জামায়াত নেতা জাফর উলস্নাহ খান, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, মোয়াজ্জেম হোসেন, আলতাফ হোসেন, নজরুল ইসলামসহ ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ আমিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত হাজারো নেতাকর্মীরা পাগলা বাজারে জড়ো হন। পরে পাগলা বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে সদরপুর ব্রিজের পূর্ব পাড়ে এসে শেষ হয়। অপরদিকে শান্তিগঞ্জ বাজারেও বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন।
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিএনপির আয়োজনে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের কৈগাড়ী মোড় থেকে বের হয়। এতে অংশ নেন বিএনপির নেতাকর্মীসহ হাজারো জনতা। বিজয় মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক, বগুড়া জেলা বিএনপির (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। এ সময় তিনি নন্দীগ্রামের সব জনতাকে এক হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনা কেন্দুয়ায় বিএনপির উদ্যোগে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলে অংশ নেন বিএনপি যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মজনুসহ অন্য নেতাকর্মীরা।