বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

সারিয়াকান্দিতে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি গরিবের নাগালের বাইরে আমিষ

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
সারিয়াকান্দিতে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি গরিবের নাগালের বাইরে আমিষ

বাজারে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ে। সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি ও ফার্মের মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা ও বাদামি ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে। কথাগুলো বলছিলেন একজন শিক্ষক।

বাজার ঘুরে জানা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সারিয়াকান্দির বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে। তবে দাম কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের। আর এক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম উচ্চ মূল্যে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে পণ্য আনা-নেওয়ায় খরচ বেশি হচ্ছে বলছেন ব্যাবসায়ীরা। তারই প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। এছাড়াও টানা বর্ষণ হয়েছে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।

সোমবার সারিয়াকান্দির বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ২৮০ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছের মধ্যে তেলাপিয়া, পাঙাশ ও রুই মাছের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। গতকাল বাজারে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের রুই ৩৫০-৩৬০ টাকা, পাঙাশ ২৮০ টাকা ও তেলাপিয়া ২৯০-৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে এই ডিমের ডজন ছিল ১৪০ টাকা, যা গত রোববার ১৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। সারিয়াকান্দির ডিম বিক্রেতা রাবু মিয়া বলেন, গত তিন দিনে পাইকারিতে প্রতি একশ ডিমে ৮০ টাকার মতো দাম বেড়েছে।

পেঁয়াজ আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ৩০ জুলাই বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১২০-১৩০ টাকা। গত রোববার সেই পেঁয়াজ ১০৫-১১০ টাকায় কেনেন ক্রেতারা। অর্থাৎ কেজিতে দাম কমেছে ৫-১০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে কোটা আন্দোলন ও ভারী বৃষ্টিপাত বন্যা পরিস্থিতির কারণে সরবরাহে বিঘ্ন হয়েছে।

বাজারে এখনো কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেশি। বাজারভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচা মরিচের সরবরাহ এখনো ঠিক হয়নি। আমদানিও সেভাবে বাড়ছে না। এ কারণে দাম কমছে না।

দেশজুড়ে কোটা আন্দোলন ও ভারী বৃষ্টির কারণে বাজারে এক সপ্তাহ আগে থেকেই বিভিন্ন প্রকার সবজির দাম বেড়ে যায়। সেই অবস্থান থেকে দাম খুব একটা কমেনি। এখনো প্রতি কেজি বেগুন ও কাঁকরোল ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে এসব পণ্যের দাম ৩০-৪০ টাকার মধ্যে থাকে। এ ছাড়া চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, লাউ ৫০-৭০ টাকা ও আলু ৫৫-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সবজির সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে এসব সবজীর দামে এমনিতে অনেক কমে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে