টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে খালের ওপর নির্মিত একটি সেতুতে মই বেয়ে পার হতে হচ্ছে পথচারীদের। সেতুটির দুই পাশে করা হয়নি সংযোগ সড়ক। এর ফলে আপাতত কোনো কাজেই আসছে না সদ্য নির্মিত এই সেতুটি। এতে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পশ্চিমপাড়া মোন্তারবাড়ি খালের ওপর ১ কোটি ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৯৬১ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। মূল অংশের নির্মাণকাজ শেষ। তবে সেতুটির দুই পাশে নেই সংযোগ সড়ক। খালের এক পাশে ৫ থেকে ৬ ফুটের বাঁশের মই দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোন্তারবাড়ি সংলগ্ন একটি খালের ওপর ১২ মিটার দৈর্ঘ্যের গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য গত বছরের ২ আগস্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিলাশ ট্রেডার্সকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত ৯ নভেম্বর টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোটমণির এই ১২ মিটার সেতুটির নির্মাণকাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। এতে সেতুটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪২ টাকা। চূড়ান্ত ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ১৬ লাখ ৬২ হাজার ৯৬১ টাকা। বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে।
ভুক্তভোগী স্থানীয় বাবু বলেন, সেতুটির কাজ শেষ। বাকি রয়েছে সংযোগ সড়কের কাজ। কয়েড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার বলেন, সেতুটির মূল কাজ শেষ হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিলাশ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল বাছেদ বলেন, সেতুটির কাজ শেষ। এখন শুধু দুই পাশে ১০০ ফুট সংযোগ সড়কের কাজ বাকি রয়েছে। বন্যার কারণে নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছি। খাল থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেই কাজটি সম্পন্ন করা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে এখনো চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়নি। তাই তাকে দিয়ে পুরো কাজ করে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বিষয়টি দ্রম্নত সমাধান করা হবে।