সাবেক এমপিসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনতার সমাবেশ
গাংনী বাসস্ট্যান্ডের ফোর লেন নকশা বাস্তবায়ন দাবি
প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের চলমান রাস্তা প্রশস্থকরণ ও সংস্কার কাজ নিয়ে গাংনীবাসীর মনে জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন। কয়েকদিন ধরে বাসস্ট্যান্ড এলাকার কাজ বন্ধ হওয়ায় এসব প্রশ্নের ডালপালা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃহৎ এ কর্মযজ্ঞ নিয়ে জুলাই-২৪ মাসের জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। তবে নির্মাণ কাজ নকশা অনুযায়ী করার জোরালো দাবি জানিয়েছেন সমন্বয় কমিটির সদস্য গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক এবং গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী।
অনেকেই নকশা পরিবর্তন করাসহ গোল চত্বর উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দাবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। নকশা বাস্তবায়ন নিয়ে গত শনিবার দুপুরে সমাবেশ করেছেন সাবেক এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনতা। সঠিক নকশা বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির কথাও জানিয়েছেন তারা।
মূলত গাংনী বাসস্ট্যান্ডের বর্তমান যে ছোট্ট গোলাকার আইল্যান্ডটি রয়েছে তা তিন রাস্তার মিলনস্থল। গাংনী-মেহেরপুর, কুষ্টিয়া এবং হাটবোয়ালিয়ার দিকে তিনটি রাস্তা বিদ্যমান। এই তিন রাস্তার মিলিত স্থান থেকে সহজে যানবাহন ও মানুষ চলাচলের জন্য এখানে ত্রিভূজ আকৃতির একটি আইল্যান্ড রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নকশায়। দেখা যায় ২০১৯-২০২০ সালের দিকে যখন মেহেরপুর-কুষ্টিয়ার এই সড়কটি প্রশস্থকরণ ও সংস্কারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছিল তখন রাস্তাটি গণমুখী করতে মেহেরপুর-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন নানাভাবে বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা করছিলেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে এখানে একটি গোল চত্বর এবং বঙ্গবন্ধুর মু্যরাল হবে। ফলে মানুষের মনে গোল চত্বরের স্বপ্ন গেঁথে যায়।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নকশায় গোল চত্বরের স্থলে ত্রিভূজ আকৃতির একটি আইল্যান্ড জায়গা পেয়েছে। তাই এ নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে ভাবছেন হয়তো নকশা পরিবর্তন করা হয়েছে। আসলে নকশার পরিবর্তন নয়, গোল চত্বর স্থলে যথার্থভাবেই ত্রিভূজ আইল্যান্ড রেখেছেন প্রকৌশলীরা। তবে পৌরসভার দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে আরও অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। গোল চত্বরের চেয়ে ত্রিভূজ আকৃতির আইল্যান্ড যথপোযুক্ত বলে গোল চত্বর রাখা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন প্রকৌশলীরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি নকশা বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন গাংনীর অনেকে। যা প্রকৃত নকশা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ নকশায় রয়েছে ত্রিভূজ আকৃতির একটি আইল্যান্ড, একটি বাস-বে এবং কুষ্টিয়া সড়ক থেকে হাটবোয়ালিয়া সড়কে যাতায়াতের জন্য সার্ভিস লেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের যে নকশা রয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে বিদ্যমান যাত্রী ছাউনির পেছনের আরও কিছু অংশ পর্যন্ত জমি প্রয়োজন। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যাত্রী ছাউনি ভাঙ্গা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়ায় নকশা বাস্তবায়ন নিয়ে গভীর এক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, 'বিষয়টি শুনেছি। তবে লিখিত নির্দেশনা পেলে সরেজমিন প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।'