বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১

ভৈরবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও পুলিশের গুলি, আহত অর্ধশত

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ভৈরবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও পুলিশের গুলি, আহত অর্ধশত

কিশোগঞ্জের ভৈরবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ প্রায় শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় কমপক্ষে অর্ধশত আহত হয়। রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড, জগনাথপুর এবং কালিকাপ্রসাদ এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে। এ সময় আন্দোলনকারীরা কিছু বাড়িঘর দোকানপাট ভাঙচুর করে।

তবে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দেখা যায়নি। স্থানীয় বিএনপির কিশোর-যুবকদের আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায়। তারা দুপুর দেড়টার দিকে ভৈরব থানা আক্রমণ করতে চেষ্টা করলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিলে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা রোববার অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলে ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের ডাক দেয়। সে অনুযায়ী রোববার সকাল ৯টায় বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড়ে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে তারা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ উপজেলা পরিষদের সামনে সমাবেশ করে। পরে দুপুরে আন্দোলনকারীরা থানা আক্রমণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শহর এলাকা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টহলে ছিল। বিকাল সাড়ে ৩টায় আন্দোলনকারীদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরিয়ে দেয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোলস্না সাখাওয়াত উলস্না জানান, আমরা আজ শহরে শান্তি সমাবেশ করেছি। সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু বলেন, আন্দোলনে আজ কোনো শিক্ষার্থী ছিল না, বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতা করতে চেয়েছিল। আমরা প্রতিহত করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর বলেন, তারা অসহযোগ আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকার উৎখাত করতে চায়। আমরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেব না। পৌর মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু বলেন, তারা কোটা আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে নৈরাজ্য বন্ধ করবে।

ভৈরব থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, আন্দোলনকারীরা গত ১৯ জুলাইয়ের মতো থানা আক্রমণ করতে চেয়েছিল। পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের দমন করতে শতাধিক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ছুড়েছে। আন্দোলনে কোনো শিক্ষার্থী আজ দেখতে পাইনি, তারা দুষ্কৃতকারী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ কঠোর অবস্থানে ছিল। নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অরাজকতা করার সুযোগ দেওয়া হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে