শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করছে বিএনপি-জামায়াত :লিটন
প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহী অফিস
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, '২০১৩-২০১৪ যারা আগুন জ্বালিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল, রেললাইন উপড়ে ফেলেছিল, বাসে আগুন দিয়েছিল, সেই বিএনপি-জামায়াত-শিবির সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুঝে হোক, আর না বুঝে হোক তাদের পালস্নায় পড়ে বিপৎগামী হয়েছে। যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌম মানে না, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে মানে না, তারা শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করে যাচ্ছে।'
বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য এবং সহিংসতার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে নগরীর গোরহাঙ্গা রেলগেটে আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, 'বাংলাদেশ আবারও রাজাকার-আলবদরদের হাতে যাবে, সেটি আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আমাদের শরীরে বীরের রক্ত, আমরা তাদের কাছে পরাজিত হতে পারি না। আওয়ামী লীগ আন্দোলন-সংগ্রামের দল। আমাদের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন রাজপথে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে পারেন। অতীতেও আমরা এর প্রমাণ দিয়েছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।'
এর আগে রোববার সকাল ১০টা থেকে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রথমে গোরহাঙ্গা রেলগেটে ও পরে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন খায়রুজ্জামান লিটন। পরে তার নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এর আগে খায়রুজ্জামান লিটন সাহেববাজার ও রেলগেট মোড়ে অবস্থান কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিটি ইতোমধ্যে সরকার মেনে নিয়েছে। আরও যে ৯ দফা দাবি তারা দিয়েছিল, সেগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বলেছেন, 'গণভবনের দরজা খোলা আছে।' এখনো সময় আছে, আপনারা (আন্দোলনকারীরা) ঘরে ফিরে যান।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল।