দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার খোলাহাটি সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকায় এক মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 'খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজ'। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অনগ্রসর এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের করছে আলোকিত। ১৯৯৪ সালে এলাকার সমাজসেবক ও দানশীল ব্যক্তি সাজেদুর রহমান দফাদার এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রতিকূলতা কাটিয়ে কলেজটি বর্তমানে একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপলাভ করেছে। এই কলেজটিতে অনার্সসহ বিভিন্ন বিভাগ ও শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে তিন হাজার ছাত্রছাত্রী। শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে ৭৮ জন। পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক। চলতি সালের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে কলেজটি উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এখানকার অধ্যক্ষ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।
পার্বতীপুর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের খোলাহাটি প্রসিদ্ধ একটি স্থান, হারিয়ে যাওয়া লুপ্ত শহর। এক সময় স্থানটি ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। কালের গর্ভে তা হারিয়ে গিয়েছিল। আবারও জেগে ওঠেছে হারিয়ে যাওয়া সেই লুপ্ত শহর। প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। গড়ে উঠেছে খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজের মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অনগ্রসর এই এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেনানিবাস, স্কুল-কলেজ, হাটবাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সব মিলিয়ে খোলাহাটি এখন একটি মিনি শহরে পরিণত হয়েছে। পার্বতীপুর-রংপুর সড়কের গাঁ-ঘেঁষে খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজের অবস্থান।
স্বনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে কথা হয় কলেজের অধ্যক্ষ মবিদুল ইসলাম ও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির দাতাসদস্য বিশিষ্ট সমাজসেবী মো. মহসীন আলী রয়েলের সঙ্গে। তারা বলেন, প্রায় পাঁচ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত কলেজটি পার্বতীপুর উপজেলা সদর থেকে বেশ দূরে হলেও শিক্ষার মান সন্তোষজনক।