চলমান ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিপীড়ন ও হয়রানীর প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পৃথক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে ৩৫ শিক্ষকের স্বাক্ষরসহ নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাজের ব্যানারে ও শনিবার সকালে একই প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিপীড়িত শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন। তারা আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা করানো ও আটক শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারেও জোরালো ভুমিকা রাখেন। এমনকি কোন ছাত্র হয়রানীর শিকার হলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহবান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এর একদিন পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নৃশংস ঘটনায় উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ড. তারেক মাহমুদ আবীর স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। অন্যদিকে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আরেকটি পক্ষ মার্কেটিং বিভাগের নুসরাত জাহান ও ইংরেজি বিভাগের ড. মুসহসিন উদ্দিনসহ ৩৫ জন স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে এসব বন্ধের আহবান জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এবং পরবর্তীকালে দেশের সর্বত্র বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের ওপর হত্যা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। বরিশাল বিযশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও একইরুপ হামলার শিকার হয়েছে। রাষ্ট্রের জনগনের পয়সায় কেনা বন্দুকের বুলেটে এভাবে শিশু, নারী ও ছাত্রজনতার বুক ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়ার ঘটনা আমাদের বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। তাই অবিলম্বে এসব নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে তারা আবু সাঈদসহ সব হত্যার বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে দ্রম্নত বিচার দাবি করেন। শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের দাবির সাথেও একাত্মতা ঘোষণা করা হয়।