উখিয়ায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা, সড়কে ধস

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের কালভার্টের মুখ বন্ধ করায় প্রবল বর্ষণে পানির তোড়ে লন্ডভন্ড নতুন কার্পেটিং সড়ক -যাযাদি
কক্সবাজারের উখিয়ায় সোনাইছড়িতে সরকারি গোপাট জবরদখল করে পানি চলাচলের ছরা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রভাবশালী মহল কর্তৃক সড়কের কালভার্টের পানি নিষ্কাশনের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে পানির স্রোতে নতুন কার্পেটিং সড়ক লন্ডভন্ড হয়ে বিধ্বস্ত ও গাইড ওয়াল বিলীন হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী ফুসে উঠেছে। উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের ২ নম্বর সোনাইছড়ি এলাকার উত্তর ও পশ্চিম পাড়ায় কয়েকশ পরিবার বসবাস করে আসছে। বর্ষার মৌসুমে রেজুখালে পানি প্রবাহের জন্য ওই গ্রামের রয়েছে সরকারি পানি চলাচলের ছরা ও গোপাট এবং কালভার্ট। পরিদর্শন করে দেখা গেছে, জনগণের যাতায়াত সুবিধার্থে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এলজিইডি প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি বছর নতুন কার্পেটিং সড়ক নির্মাণ করেছে। একইভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় পানি নিষ্কাশনের জন্য কালভার্ট তৈরি করে। সোনাইছড়ি গ্রামের সুলতান আহমদ সওদাগর, সৈয়দ আলম ও শাহীন হাসান অভিযোগ করে বলেন স্থানীয় প্রভাবশালী মহল পানি চলাচলের একমাত্র ছরা ও সরকারি গোপাট জোরপূর্বক দখল করায় বর্ষার মৌসুমে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। এবারে টানাবর্ষণে পুরো গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে শতাধিক পরিবার কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বসবাসরত আব্দুল আলম, মির আহমদ ও জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওই প্রভাবশালী মহল পানি চলাচলের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রবল বর্ষণের পানি নদীতে যেতে না পেরে ঢলের পানির ধাক্কায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন কার্পেটিং সড়ক লন্ডভন্ড ও বিধ্বস্ত হয়ে চলাচলের অনুযোগী হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় ১২০ ফুট দৈর্ঘ্য গাইডওয়াল ধসে বিলীন হয়েছে। মাস্টার জামাল জসিম উদ্দিন ও আবুল কালাম জানান, প্রভাবশালী মহল কর্তৃক পানি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় বর্ষার মৌসুম পুরো গ্রামে বসবাসরত মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবতের জীবনযাপন করছে। এলাকাবাসী দখল হওয়া ছরা ও গোপাট উদ্ধার করে ট্রেজিংয়ের মাধ্যমে বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচল এবং নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে অসংখ্য পরিবারকে পানিবন্দি থেকে রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে খবর পেয়ে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী, উপজেলা প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান খান ও জালিয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম ছৈয়দ আলম সোনাইছড়ি এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।