বিরলে রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ প্রদান আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ প্রদানে অভিযুক্ত দিনাজপুরের বিরল পৌরসভার মেয়র মো. সবুজার সিদ্দিক সাগর (নিবন্ধক) ও মো. মাহবুবুর রহমানের (নিবন্ধন সহকারী) বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি প্রদান এবং নিবন্ধক ও নিবন্ধন সহকারীর ইউজার আইডি জন্ম ও মৃতু্য নিবন্ধন সিস্টেমে (বিডিআইআরএস) স্থগিত করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে জনগণের সেবাপ্রাপ্তি অব্যাহত রাখার জন্য জন্ম ও মৃতু্য নিবন্ধন চালু রাখার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট পৌরসভার কোনো কর্মকর্তা বা কাউন্সিলরকে নিবন্ধক ও পৌরসভার সরকারি রাজস্বভুক্ত কোনো কর্মচারীকে নিবন্ধন সহকারীর দায়িত্ব প্রদান করতে বলা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃতু্য নিবন্ধন ডেপুটি রেজিস্টার জেনারেল মির্জা তারিক হিকতম স্বাক্ষরিত গত ৪ জুন তারিখের পত্রানুযায়ী এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে স্থানীয় সরকার দিনাজপুরের উপপরিচালক সালাহ উদ্দীন আহমেদ বিরল পৌরসভার মেয়রের সদয় জ্ঞাতার্থে ও কার্যার্থে বর্ণিত পত্রের মর্মানুযায়ী বিরল পৌরসভার কোনো কর্মকর্তা বা কাউন্সিলরকে নিবন্ধক এবং সরকারি রাজস্বভুক্ত কোনো কর্মচারীকে নিবন্ধন সহকারীর দায়িত্ব প্রদানের নিমিত্তে তাদের জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি, ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর ওই কার্যালয়ে পাঠাতে বলেছেন।
উলেস্নখ্য, রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ প্রদানের সঙ্গে জড়িত বিরল পৌরসভার উদ্যোক্তা বিরল শাকধোয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুর রশিদ ও ১০নং রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মহেশশীবপুর গ্রামের অজিত চন্দ্র রায়ের ছেলে সোহেল চন্দ্র রায় এবং রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ পাইয়ে দেওয়ার মূলহোতা বিরল উপজেলার ৮নং ধর্মপুর ইউনিয়নের বামনগাঁও গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে সাইবার ক্রাইম ইউনিট-ঢাকার একটি দল ১৩ ফেব্রম্নয়ারি বিরলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
ডিবিপ্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ সে সময় সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ করে দেওয়ার মূলহোতা মোস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন থেকে বিরল পৌরসভা ও ১০নং রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে কয়েক শতাধিক রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ প্রদান করে আসছিলেন। বর্তমানে আটক ওই তিনজনই জামিনে মুক্ত রয়েছেন।