হালকা বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে যশোরের শার্শার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের শাঁখারীপোতা বাজারের সড়ক।
সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় শাঁখারীপোতা বাজারের প্রবেশের রাস্তা। যে রাস্তাটি ধান্যখোলা থেকে শাঁখারীপোতা বাজারে প্রবেশের প্রধান রাস্তা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে হালকা বৃষ্টিতেই চরম দুর্ভোগে থাকতে হয় এলাকার কয়েক হাজার মানুষসহ আশপাশের অনেক গ্রামের বাসিন্দাদের। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে এলেই হাঁটুপানি মাড়িয়ে বাজারে যেতে হয় তাদের।
একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়-সমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় এই দুর্ভোগ নিত্যদিনের। অন্যদিকে পানিবাহিত রোগে ভুগছেন বাসিন্দারা।
অনেক ইজিবাইক চালকদের থেকে জানা যায়, রাস্তার বেহাল দশার কারণে আমাদের গাড়ির নানান সমস্যা দেখা দেয়। দিনে ৫০০ টাকা উপার্জন করে ৩০০ টাকা ভাড়া দিতে হয় মালিককে। অথচ কিছুদিন পর পরই এ রাস্তায় চলাচল করার কারণে গ্যারেজে গাড়ি নিয়ে ঠিক করতে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শাঁখারীপোতা বাজারের রাস্তা অনেক নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই তা হাঁটু পানিতে পরিণত হয়। বাজারের পাশেই রয়েছে জামে মসজিদ, হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। এখানে যাতায়াতের রাস্তাগুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় অনেকে ভর্তিতে অনাগ্রহ দেখায়। এ ব্যাপারে জানতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তখন তাকে মুঠোফোনে পাওয়ানি।
বাজারের ব্যবসায়ী মহল থেকে অভিযোগ করা হয়, বিষয়টি অনেকবার মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তাদের থেকে সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। রাস্তা উঁচু কিংবা পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হলে জলাবদ্ধতার হাত থেকে প্রতিকার মিলবে বলে জানান তারা।
শাঁখারীপোতা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান বলেন, 'আমার দোকানের সামনেই প্রায় হাটুপানি। হাল্কা বৃষ্টিতে দিনের পর দিন পানি থাকে আমার দোকানের সামনে। আমার দোকানের ক্রেতা অনেকাংশে কমে গেছে। ব্যবসা এখন চরম ক্ষতির মুখে। সারাদেশে যখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসে, তখন শাঁখারীপোতা গ্রামের বাসিন্দারা সেই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত।