বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সব সহযোগী সংগঠনের প্রোগ্রামের নিউজ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে সোনাতলা প্রেস ক্লাব। শুক্রবার প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমরান হোসেন লিখনের সভাপতিত্বে প্রেস ক্লাব ভবনে নির্বাহী সদস্যদের উপস্থিতিতে নির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জানা যায়, সোনাতলা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ কতিপয় সাংবাদিকের সঙ্গে গত ১ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে পাকুল্যা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। যার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রেস ক্লাব।
এ বিষয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, ১ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি তালিকা হাতে পান। উক্ত তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম ও সোনাতলা এলাকার বাইরের ব্যক্তি কমিটির সদস্য থাকায় সাংবাদিকের নিকট অসংগতি মনে হলে, কমিটির তালিকা বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকের বক্তব্য নিতে যান।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রেস ক্লাবের সদস্য কালবেলা প্রতিনিধি রিমন আহমেদ বিকাশ ও দৈনিক মানবকণ্ঠ প্রতিনিধি সাজেদুর আবেদীন শান্ত।
বক্তব্য নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তেকানি চুকাইনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্ডল ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবু লায়েছ হোসেন নাহিদ কমিটির তালিকা দেখতে চায়।
সে সময় পাকুল্যা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন তালিকার ছবি তুলতে চাইলে। সাংবাদিকরা তাকে জানান, 'তালিকায় সাংবাদিকদের বিশেষ কিছু সংবাদের জন্য মার্ক করা আছে। এখন ছবি না তুলে পরে ফ্রেশ কপি নিয়ে আসি, তখন ছবি তুলেন।' এ কথা বলে একটু সামনে চায়ের দোকানে যায়, সেখানে মামুন গিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে নানা গালমন্দ ও অসৌজন্যমূলক মারমুখী আচরণ করেন। আওয়ামী লীগের দায়িত্বরত ব্যক্তির নিকট থেকে সাংবাদিক বিদ্বেষী এহেন আচরণের প্রতিবাদে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সমস্ত সংগঠনের সব কার্যক্রমের সংবাদ প্রকাশ বর্জন করেছে।
উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমরান হোসেন লিখন ও সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।