৪ জেলায় মাদক ব্যবসায়ীসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার

শায়েস্তাগঞ্জে বিএনপির দুই নেতা আটক

প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
রংপুর, সুনামগঞ্জের মধ্যনগর, বাগেরহাটের কচুয়া ও নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মাদক সম্রাটসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব এবং পুলিশ। অপরদিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ২ বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়েছে। তিন মেয়ে শিশুকে যৌন নির্যাতনকারী আসামি আটক করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর- রংপুর প্রতিনিধি জানান, রংপুরে নেশা জাতীয় তরল পদার্থ ফেনসিডিলসহ এক শীর্ষ মাদক ব্যসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব বাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রংপুরর্ যাব-১৩ আধিনায়কের পক্ষে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি সালমান নুর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১ আগস্ট মধ্যরাতে রংপুর নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কোবারু এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি পিকআপ ভ্যান তলস্নাশি চালিয়ে ৪৪৩ বোতল ভর্তি ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় সুমন মিয়া (২৮) নামে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে বগুড়ার নারুমালা মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা আজিম উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায়র্ যাব বাহিনীর সদস্য বাদি হয়ে মহানগর পরশুরাম থানায় মাদক আইনে এক মামলা করা হয়েছে। মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ১১৫ বোতল ভারতীয় মদসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুর ১২টা  দিকে উপজেলার চামরদানী  ইউনিয়নের সুমেশ্বরী নদীর  থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় একটি ইঞ্জিনচালিত  নৌকা জব্দ করা হয়। আটক মাদক ব্যবসায়ীরা হলো ওই ইউনিয়নের কাইতকান্দা গ্রামের সৈচরন দাসের ছেলে মতিন্দ্র দাস (৪৫) একেই গ্রামের কমল দাসের ছেলে শংকর দাস (৩২)।মধ্যনগর থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন  এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার কলমাকান্দায় কুখ্যাত মাদক সম্রাট শরীফ মাহমুদ সুমনকে (৪৮) ৬৮টি ইয়াবা ও ২৮টি ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করেছে কলমাকান্দা থানা পুলিশ। তিনি উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন। তিনি কলমাকান্দার সদর ইউনিয়নের মন্তলা গ্রামের মৃত মো. সাহেব আলীর ছেলে। গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা সদরের রেন্ট্রিতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শরীফ মাহমুদ সুমন মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার নামে থানায় মাদকের ৪টি মামলা রয়েছে। এর আগে মাদকসহ তাকে দুইবার গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া ইউনিয়নের চরসোনাকুর গ্রামে ৩ মেয়ে শিশুকে যৌন নির্যাতনকারী আসামি আজহার আলী মোলস্না (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে কচুয়া থানা পুলিশের একটি অভিযানকারী দল। বৃহস্পতিবার ভিকটিম আমেনা খাতুনের পিতা আলম মোলস্না বাদি হয়ে কচুয়া থানায় এজাহার দায়ের করলে শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ১০ ধারায় মামলা রুজু হয়। এদিকে মামলা রুজু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মহসীন হোসেনের নির্দেশে পলাতক আসামি মো. আজহার আলী মোলস্নাকে রাত ১১টায় ৩০ মিনিটে পিরোজপুর জেলার রাজারহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে কচুয়া থানা পুলিশ। এ বিষয়ে কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মহসীন হোসেন বলেন, উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা থানায় এজাহার দায়ের করলে মামলা রুজু হওয়ার সাথে সাথে আসামিকে গ্রেফতার করার জন্য কচুয়া থানা পুলিশের একটি অভিযানকারী দল থানা এলাকাসহ আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১১টায় ৩০ মিনিটে পিরোজপুর জেলার পিরোজপুর সদর থানার রাজারহাট এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেফতার করে কচুয়া থানা পুলিশের একটি অভিযানকারী দল। শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল করিম ও নুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আছকির মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার নুরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃত ফজলুল করিম নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং আছকির মিয়া একই পরিষদের মেম্বার। পুলিশ জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৯ জুলাই উপজেলার নছরতপুরে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১০১ জনের নাম উলেস্নখ করে ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হুসেন ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, পুলিশ এসল্ট মামলায় তারা দুজনই এজহারভুক্ত আসামি। ফজলুল করিম ১ নম্বর আসামি। তাদের সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।