মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, 'কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলো। ওদের লক্ষ্য ছিল সরকার পতন। নৈরাজ্য করে ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ১৯৭১ সালের পুরনো শকুনেরা নতুন কায়দায় ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে।'
শুক্রবার ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে শোকাবহ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, 'যে ধরনের দানবীয় ও নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে তা বর্ণনা করা সম্ভব না। পদ্মা সেতু আমাদের প্রতিবাদের প্রতীক। পদ্মা সেতুর টোল পস্নাজায়, মেট্রোরেল, সেতু ভবনে আক্রমণ করা হয়েছে। কারা আক্রান্ত করেছে সেটা বুঝতে হবে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনে দাবি ছিল মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ। তারা দাবি করেছিল ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রেখে বাকি নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে। তাদের সে দাবি পূরণ হয়েছে। যারা আন্দোলন করেছিল আদালতের রায়ের পর তাদের উৎসব করা উচিত ছিল।'
মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, 'সারাদেশে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা-মধুখালিতে আমার রাজনৈতিক বিরোধী বন্ধুরা কোনো কর্মসূচি দেননি-এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
সম্ভাবনার বাংলাদেশকে কেউ গলাটিপে হত্যা করুক, আমরা তা হতে দিতে পারি না। আগামী ২০২৯ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। পদ্মা সেতুর টোল পস্নাজায় আগুন দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না।
প্রতিরোধ আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের এই সংকটকালে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রতিটি কর্মীকে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।'
উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুলের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সেলিম রেজা লিপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আকবর আলী, মতিন মৃধা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল সিকদার প্রমুখ।