দামুড়হুদায় রোপা আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
শুরু হয়েছে আমন ধান রোপণের মৌসুম। গ্রাম বাংলার চিরচেনা দৃশ্যে এখন মাঠজুড়ে দেখা যাচ্ছে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বর্ষার ভরা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। তবে কখনো কখনো আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলেও তেমন বৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়ার এই বৈরিতায় বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহার গুনছে এ উপজেলার আমন ধানচাষিরা। কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির অভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে আমন ধানের চারা রোপণ। প্রকৃতির বৈরী আচরণে শ্যালো ইঞ্জিন, গভীর, অগভীর নলকূপ সেচই একমাত্র ভরসা। এরই মধ্যে আমন চাষকে ঘিরে মাঠে মাঠে যেন এখন উৎসব শুরু হয়েছে। দামুড়হুদা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর। বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপজেলার কৃষক গভীর, অগভীর নলকূপের পানি দিয়ে আমনচারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা, কুড়লগাছি, কার্পাসডাঙ্গা ও নাটুদাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের জমিতে আমন ধানের চারা লাগানো নিয়ে সকাল থেকে জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোথাও কোথাও মাঠ সমান করার জন্য পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে মইয়ের কাজ। কোনো কোনো স্থানে পাওয়ার টিলার ছাড়াও গরুর দিয়ে এমনকি কৃষকরা নিজেই মই টেনে জমি সমান করার দৃশ্য দেখা গেছে। আবার কোথাও আমন ধান রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা। উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের কুড়ুলগাছি গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দীন জানান, 'চলতি মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। অগভীর নলকূপের পানি দিয়ে আমন চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করে ধান রোপণ করেছি। এজন্য এ বছর ধান চাষে ব্যাপক খরচ হবে।' উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কৃষক আশাদুল হক বলেন, 'আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে রোপা আমন চাষে ব্যাহত হচ্ছে। মেঘের আনাগোনা থাকলেও প্রত্যাশিত বৃষ্টি নেই। বাধ্য হয়েই গভীর নলকূপের সেচের পানি দিয়ে চাষাবাদ শুরু করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, 'আমন ধানচাষে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে এবং সময়মতো সার ও সেচ প্রদান করলে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। আমরা নিয়মিত কৃষকদের জমি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছি। সঠিকভাবে চাষাবাদ ও রোগবালাই প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন সময় কৃষক-কিষানিদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা পরিচালনা করা হয়েছে। কৃষি উপ-সহকারীরা কৃষকদের কল্যাণে মাঠে দিনভর কাজ করে যাচ্ছে।'